নিজ দলের পরাজয় চাইলেন তিনি!

জিম্বাবুয়ের সাধারণ নির্বাচনে নিজ দলের পরাজয় চান দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। ছবি: এএফপি
জিম্বাবুয়ের সাধারণ নির্বাচনে নিজ দলের পরাজয় চান দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। ছবি: এএফপি

জিম্বাবুয়েতে চলমান সাধারণ নির্বাচনে নিজ দলের পরাজয় চান দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। সোমবার জিম্বাবুয়েতে ভোট গ্রহণ হয়। ভোটের আগের দিন গতকাল রোববার নিজের সাবেক রাজনৈতিক দলকে প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানান মুগাবে।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, গত নভেম্বর মাসে সামরিক বাহিনীর চাপে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। ওই ঘটনার পর এ নিয়ে মোট পাঁচবার জনসমক্ষে এসেছেন মুগাবে। গতকাল রোববার হারারেতে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, আগামীকাল যে ভোট গ্রহণ হবে, তাতে জনগণ সামরিক আদলে থাকা সরকারব্যবস্থাকে ছুড়ে ফেলবে এবং সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনবে।’

৯৪ বছর বয়স্ক রবার্ট মুগাবে প্রায় ৩৭ বছর জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন। দেশটিতে এই প্রথমবারের মতো একটি নির্বাচন হচ্ছে, যেখানে ব্যালটে মুগাবের নাম নেই।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে আছেন শাসক দল ক্ষমতাসীন জানু-পিএফ পার্টির এমারসন মানানগাগোয়া এবং বিরোধী নেতা নেলসন চামিসা। এ ছাড়া একই দিন পার্লামেন্টারি ও স্থানীয় নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এমারসন মানানগাগোয়া জিম্বাবুয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং একসময় রবার্ট মুগাবের মিত্র ছিলেন তিনি।

গত বছর পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়ে জিম্বাবুয়ের ক্ষমতা দখল করে দেশটির জেনারেলরা। অভিযোগ আছে, ওই সময় রবার্ট মুগাবে তাঁর স্ত্রী গ্রেসকে ক্ষমতাসীন করতে চেয়েছিলেন।

সোমবার ভোটগ্রহণের দিন জিম্বাবুয়ের বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। তবে নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলো। ছবি: এএফপি
সোমবার ভোটগ্রহণের দিন জিম্বাবুয়ের বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। তবে নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলো। ছবি: এএফপি

গতকালের সংবাদ সম্মেলনে মুগাবে বলেন, ‘যারা আমাকে নির্যাতন করেছে, তাদের আমি ভোট দিতে পারি না। জানু-পিএফ’কে আমি ভোট দিতে পারব না। বাকি থাকল কি? আমার মনে হয়, শুধুই চামিসা।’ স্ত্রীকে ক্ষমতাসীন করার অভিযোগ অস্বীকার করে মুগাবে আরও বলেন, ‘আমাকে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরানো হয়েছে।’

এদিকে মুগাবের এমন বক্তব্যের জবাবে ৪০ বছর বয়সী বিরোধীদলীয় নেতা নেলসন চামিসা বলেন, ‘মুগাবে আমার অভিষেকে থাকলে, সেটি ভালো খবর। তিনি ভোটার হিসেবে কিছু বললে, তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।’

সোমবার ভোট গ্রহণের দিন জিম্বাবুয়ের বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। বিদেশি পর্যবেক্ষণকারীরা বলছেন, মুগাবে পরবর্তী সময়ে দেশটির ভোটারদের জন্য এটি অনেক বড় সুযোগ। তবে নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলো।