নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ বিজেপি বিধায়ক

আসামের নাগরিক তালিকায় নাম নেই বিজেপি বিধায়ক রামকান্ত দেউড়ির। ছবি: সংগৃহীত।
আসামের নাগরিক তালিকায় নাম নেই বিজেপি বিধায়ক রামকান্ত দেউড়ির। ছবি: সংগৃহীত।

ভারতের আসাম রাজ্যে গতকাল সদ্য প্রকাশিত এনআরসির (জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন) চূড়ান্ত খসড়া তালিকায় নাম নেই আসামের খোদ বিজেপি বিধায়কের। বাদ পড়েছেন এনআরসির রাজ্যপ্রধান প্রতীক হাজেলাও। তবে নাম আছে কট্টর চরমপন্থী ভারতীয় জঙ্গি পরেশ বড়ুয়ার।

কথিত বাংলাদেশি শনাক্ত করতে আসামে ১ হাজার ২২০ কোটি রুপি খরচ করে প্রস্তুত করা হয় এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া তালিকা। বাদ পড়েন রাজ্যের ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ। এখন তাঁদের দিতে হবে নাগরিকত্বের পরীক্ষা।

তালিকায় নাম নেই বিজেপি বিধায়ক রামকান্ত দেউড়ি, এআইডিইউএফ বিধায়ক অনন্ত কুমার মালোর।

নাম তুলতে এনআরসির রাজ্য সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলা ব্যর্থ হলেও আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার নেতা পরেশ বড়ুয়া সফল। সফল আরও বহু কট্টর জঙ্গি।

যাঁদের নাম বাদ পড়েছে, তাঁদের সামনেও নাগরিকত্ব প্রমাণের সুযোগ আছে বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। আর এটা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ। তাঁর মতে, মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ এনআরসি। টুইট বার্তায় তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংখ্যালঘু নিপীড়নের যন্ত্র বলে বর্ণনা করেন।

আসাম রাজ্য নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির চেয়ারম্যান তপোধীর ভট্টাচার্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আসামে বর্ণবিদ্বেষ ফিরে এসেছে। বাঙালিরা নিজভূমিতে পরবাসী। অসমিয়া আধিপত্যবাদের কাছে লুণ্ঠিত মানবতা।’

নাম বাদ পড়া বিজেপি বিধায়ক রামকান্ত দেউড়ি ক্ষিপ্ত। অসমিয়া সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘জন্মসূত্রে আমি ভারতীয়। কয়েক পুরুষের বসবাস। আমি বৈধ ভূমিপুত্র। তাই কোনো আবেদন করব না।’