ইসরায়েল ও গাজায় টগবগে উত্তেজনা

ইসরায়েল-গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনদের বিক্ষোভ চলাকালে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়া হয়। নিজ ভূমিতে ফেরার অধিকার চেয়ে সীমান্তে বিক্ষোভ করছেন ফিলিস্তিনিরা। রয়টার্সের সাম্প্রতিক ছবি।
ইসরায়েল-গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনদের বিক্ষোভ চলাকালে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়া হয়। নিজ ভূমিতে ফেরার অধিকার চেয়ে সীমান্তে বিক্ষোভ করছেন ফিলিস্তিনিরা। রয়টার্সের সাম্প্রতিক ছবি।

ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে। কয়েক মাস ধরে ইসরায়েল ও গাজার মধ্যকার সহিংসতা কমে এসেছিল। তবে সম্প্রতি উত্তেজনা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আবার যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি হতে পারে।

ভক্স নিউজের খবরে জানা যায়, গত মার্চ মাস থেকে হাজার হাজার গাজাবাসী ইসরায়েলি সীমান্তে প্রতি সপ্তাহে বিক্ষোভ করছেন। তাঁরা সহিংসতার কারণে ঘরহারা শত শত ফিলিস্তিনিকে নিজ বাসভূমিতে ফিরিয়ে দেওয়ার অধিকার দাবি করছেন।

বলা হচ্ছে, হামাস গোষ্ঠী এ ধরনের বিক্ষোভের আয়োজক। বেশির ভাগ বিক্ষোভই ছিল শান্তিপূর্ণ। তবে অনেকে সহিংস আচরণ করছে। ইসরায়েলি জমিতে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। রকেট ও মর্টার হামলা চালানো হয়েছে। এ রকম গোলাগুলিতে পড়ে ইসরায়েলি এক সেনা নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলিরা বিক্ষোভকারীদের ওপর কামান, গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে হামলা চালাচ্ছে। গত মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনারা ১৪০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। তাদের হামলায় নারী, শিশু, সাংবাদিকসহ ১৬ হাজার আহত হয়েছে।

হামাস ও ইসরায়েল গত ১৪ জুলাই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। তবে দ্রুতই এটি ভেঙে পড়ে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান জেরুজালেম পোস্টকে বলেন, ‘হামাস নেতারা আমাদের এই পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।’ উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য হামাসকে দায়ী করেন তিনি।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত বৃহস্পতিবার কলম্বিয়ায় তাঁর সফর বাতিল করেছেন।

ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের থিংক ট্যাংক ও ফিলিস্তিন নেতৃত্ববিষয়ক উপদেষ্টা খালেদ এলগিন্ডি বলেন, ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে যুদ্ধ বাধলে তিনি অবাক হবেন না।