মিসরের শিক্ষার্থীদের তৈরি বাতাসে চলা নতুন গাড়ি

মিসরের হেলওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের একদল শিক্ষার্থী এই নতুন গাড়ি তৈরি করেছে। এটি চলে সিলিন্ডারে অধিক চাপে জমা রাখা অক্সিজেন দিয়ে। ছবি: রয়টার্স
মিসরের হেলওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের একদল শিক্ষার্থী এই নতুন গাড়ি তৈরি করেছে। এটি চলে সিলিন্ডারে অধিক চাপে জমা রাখা অক্সিজেন দিয়ে। ছবি: রয়টার্স

এই গাড়ি খুব বেশি উঁচু নয়। ইঞ্জিন সামনে নয়, আছে পেছনে। আপাতত বসতে পারেন শুধু চালকই। তবে বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, গাড়িটি চালাতে প্রয়োজন হয় না পেট্রল-ডিজেল বা বিদ্যুৎ। স্রেফ হাওয়ায় চলে এই গাড়ি। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মিসরের হেলওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের একদল শিক্ষার্থী এই নতুন গাড়ি তৈরি করেছে। আপাতত শুধু চালকের বসার আসন রেখেই গাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। এটি চলে সিলিন্ডারে অধিক চাপে জমা রাখা অক্সিজেন দিয়ে। সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিতে গাড়িটি চলতে পারে।

গাড়ির নকশা প্রণয়ন করা শিক্ষার্থীরা বলছেন, সিলিন্ডারে নতুন করে অক্সিজেন ভরার আগ পর্যন্ত গাড়িটি টানা ৩০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। গাড়িটি তৈরিতে খরচ হবে প্রায় এক হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় খরচ দাঁড়াবে ৮০ হাজার টাকার কিছু বেশি।

গাড়িটি তৈরির সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীদের একজন হলেন মাহমুদ ইয়াসির। তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘গাড়িটি তৈরির খরচ প্রায় নেই বললেই চলে। উচ্চ চাপে সংকুচিত করা বাতাস এতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হবে। সুতরাং জ্বালানি বাবদ কোনো খরচ হবে না। আবার ইঞ্জিন ঠান্ডা করারও প্রয়োজন হবে না।’

বর্তমানে শিক্ষার্থীদের এই দল বড় পরিসরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেশি সংখ্যক যান তৈরি করতে চাইছে তাঁরা। একই সঙ্গে গাড়ির গতি ও পাল্লা বাড়ানোর চেষ্টাও চলছে।

কায়রো শহর থেকে একটু দূরেই হেলওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। মিসরের সরকার বর্তমানে অর্থনৈতিক সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছে। এই সংস্কারের মধ্যে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে। ২০১৬ সালের শেষের দিকে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। এর মেয়াদ তিন বছর।