২০১৮ সাল হবে ইতিহাসের চতুর্থ উষ্ণতম বছর

খরা ও উষ্ণতায় মাঠ ফেটে চৌচির।  ফাইল ছবি
খরা ও উষ্ণতায় মাঠ ফেটে চৌচির। ফাইল ছবি

এবারের গ্রীষ্মে বিশ্বের কোথাও দাবদাহে জীবন অতিষ্ঠ হয়েছে। কোথাও দাবানলের সঙ্গে লড়তে হয়েছে। এতেই শেষ নয়। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ বছর আরও অনেক কিছু দেখতে হবে। সব মিলিয়ে ২০১৮ সাল ইতিহাসের চতুর্থ উষ্ণতম বছর হতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা তাঁদের।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় এবারের দাবানলকে এই অঙ্গরাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দাবানল ঘোষণা করা হয়েছে। সুইডেন ও এল সালভাদরের মতো কয়েকটি দেশে গম, ভুট্টাসহ অন্য খাদ্যশস্যের উৎপাদনের হার হঠাৎ করেই কমে গেছে। ইউরোপে বন্ধ করে দিতে হয়েছে বেশ কয়েকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। কারণ যেসব নদী এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে শীতল করত, সেগুলোর পানি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দাবদাহের কারণে এশিয়াসহ চারটি মহাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে। জাপানে দাবদাহের কারণে প্রাণহানিও হয়েছে।

গবেষকেরা বলছেন, কেবল জাপানেই নয়, দাবদাহের কারণে এ বছর বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর হার বেড়ে যাবে। শিল্পযুগের সূচনার পর এই বছরটি হতে যাচ্ছে চতুর্থ উষ্ণতম বছর। শুধু তা-ই নয়, ২০০১ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত এই ১৮ বছরের মধ্যে ১৭ বছরই অত্যন্ত উষ্ণ ছিল।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিজ্ঞানী ডেনিয়েল সোয়াইন বলেন, ‘আমরা এমন এক বিশ্বে বাস করছি, যা স্বাভাবিকের চেয়ে উষ্ণ হয়ে উঠেছে।’ ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক সাময়িকী প্লস মেডিসিন-এ গত মাসে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে সতর্ক করা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এখনই পদক্ষেপ না নিলে যুক্তরাষ্ট্রে ২০৮০ সাল নাগাদ দাবদাহের কারণে মৃত্যুর হার পাঁচ গুণ বেড়ে যাবে।