পাকিস্তানে যাওয়ায় সিধুর বিরুদ্ধে বিজেপির ক্ষোভ

নভজোৎ সিং সিধু। ছবি: সংগৃহীত।
নভজোৎ সিং সিধু। ছবি: সংগৃহীত।

ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও পাঞ্জাবের স্থানীয় সরকার, পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নভজোৎ সিং সিধুর বিরুদ্ধে খেপেছে বিজেপি। পাকিস্তানে গত শনিবার ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কংগ্রেসদলীয় এ নেতা। বিজেপির অভিযোগ, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির শেষকৃত্যে যোগ না দিয়ে ইমরানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের গুরুত্ব তাঁর কাছে বেশি ছিল।

গতকাল রোববার উত্তর প্রদেশের আরোহার বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা আফতাব আদবানি সিধুকে ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি তোলেন। সিধুকে তিনি ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ আখ্যা দেন।

আফতাব আদবানি বলেন, ‘এ ধরনের মানুষের দেশে থাকার কোনো অধিকার নেই। সিধু একজন “বিশ্বাসঘাতক”। সরকারের উচিত তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা করা। তাঁকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া।’

বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, ‘সিধু পাকিস্তান যাওয়ার আগে দলের অনুমতি নিয়েছিলেন?’

সিধু দাবি করেছেন, ভালোবাসার বার্তা দিতেই তিনি পাকিস্তানে গিয়েছিলেন।

পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। সিধু তাঁর বন্ধু।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য দেশটির সরকার ইমরানের বন্ধু হিসেবে তিন সাবেক ক্রিকেটারকে আমন্ত্রণ জানায়। তাঁরা হলেন সুনীল গাভাস্কার, কপিল দেব ও সিধু।

অনুষ্ঠানে গাভাস্কার ও কপিল দেব উপস্থিত না থাকলেও উপস্থিত ছিলেন সিধু। অনুষ্ঠানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট মাসুদ খানের পাশে বসতে দেখা যায় সিধুকে। অনুষ্ঠানস্থলে শপথগ্রহণের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল জাভেদ বাজওয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য অতিথিদের কাছে এলে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন সিধু। দুজনে কথাও বলেন।

এ সময় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির মৃত্যুতে ভারতজুড়ে চলছিল শোক পালন সপ্তাহ।

সিধুর আচরণ মেনে নিতে পারেনি ভারতের অনেকেই। তাঁর আচরণ নিয়ে সমালোচনা চলছে। দাবি উঠেছে, আচরণের জন্য সিধুকে কড়া শাস্তি দিতে হবে। সিধুর গায়ে ‘পাকিস্তানপ্রেমী’ হিসেবে তকমা লাগিয়ে তাঁকে পাকিস্তানে পাঠানোর দাবি তুলেছে বিরোধী পক্ষ বিজেপি।