হাতি, রাজহাঁস নিয়ে আসাম পুলিশের অভিনব প্রচার!

হাতিরাও ট্রাফিক আইন মেনে চলে—জেব্রাক্রসিং দিয়ে মানুষকে চলাচলে উৎসাহী করতে আসাম পুলিশের অভিনব প্রচার। ছবি: আসাম পুলিশের সৌজন্যে
হাতিরাও ট্রাফিক আইন মেনে চলে—জেব্রাক্রসিং দিয়ে মানুষকে চলাচলে উৎসাহী করতে আসাম পুলিশের অভিনব প্রচার। ছবি: আসাম পুলিশের সৌজন্যে

হাতিদের মতো ‘হেভিওয়েটরাও’ মেনে চলছে পথ আইন। রাজহাঁসের দলও পথ সুরক্ষার প্রশ্নে সচেতন। কিন্তু আমরা কবে হব? প্রশ্ন আসাম পুলিশের।

লোকজনকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে এমন মজার মজার সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করেছে আসাম পুলিশ। গুরুগম্ভীর বার্তার বদলে কৌতুক করে লোকজনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বেশির ভাগ প্রচার চালানো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আসাম পুলিশের এই উদ্যোগ ইতিমধ্যে মানুষের নজর কেড়েছে, প্রশংসিতও হয়েছে।

সম্প্রতি আসাম পুলিশের একটি প্রচার বেশ সাড়া ফেলেছে। এতে ব্যবহৃত ছবিতে দেখানো হয়েছে, একটি হাতি জেব্রাক্রসিং দিয়ে হেঁটে চলেছে। ছবির নিচে লেখা হয়েছে, ‘হাতি, ট্রাফিক রুলস কে ভি সাথি’—অর্থাৎ, হাতিও ট্রাফিক আইন মেনে চলে। শুধু তা-ই নয়, সাধারণ মানুষের প্রতি প্রশ্ন রাখা হয়েছে, ‘হেভিওয়েট হাতিও বোঝে ট্রাফিক আইন মেনে চলার গুরুত্ব। কিন্তু আমরা বুঝব কবে?’

হাতি তো সত্যিই ওজনদার! নেতা বা মন্ত্রী না হলেও হাতির ওজন নিয়ে কোনো প্রশ্ন হবে না। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসাম পুলিশের এই প্রচার নিয়ে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে।

ট্রাফিক পুলিশের দেখানো পথে নিয়ম মেনে চলছে রাজহাঁসেরাও—আসাম পুলিশের অভিনব প্রচার। ছবি: আসাম পুলিশের সৌজন্যে
ট্রাফিক পুলিশের দেখানো পথে নিয়ম মেনে চলছে রাজহাঁসেরাও—আসাম পুলিশের অভিনব প্রচার। ছবি: আসাম পুলিশের সৌজন্যে

এর আগে রাজহাঁসদের ট্রাফিক আইনের সঙ্গে জড়িয়ে মজার প্রচার চালিয়েছিল আসাম পুলিশ। আসাম পুলিশের ব্যবহৃত ওই ছবিতে দেখানো হয়, একঝাঁক রাজহাঁস রাস্তা পার হচ্ছে। একজন পুলিশ সদস্য এদের রাস্তা দেখিয়ে দিচ্ছেন। ছবির নিচে ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে, ‘দিস ওয়ে, প্লিজ!’ অর্থাৎ, দয়া করে এই পথে চলুন।

জনগণকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে সচেতন করতে বলিউড তারকা শাহরুখ খানের ছবিও ব্যবহার করেছে আসাম পুলিশ। আর সেটা জানতে পেরে শাহরুখ খান আসাম পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

রাজ্যের ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে মানুষকে সচেতন করার এই অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বাস্তবে কাজ হোক না হোক, প্রয়াসটি খুবই ভালো বলে মনে করছেন অনেকেই।

এ প্রসঙ্গে সামাজিক সংস্থা ‘ব্যতিক্রম’-এর প্রধান সৌমেন ভারদিয়া মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘গুরুগম্ভীর বিজ্ঞাপনের বদলে আসাম পুলিশের হাস্যরসে ভরা এ ধরনের প্রচার অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে। মানুষের মনে দাগ ফেলছে এ ধরনের প্রচার।’ অভিনব প্রচারের জন্য আসাম পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।