'শান্তি'র জন্য ইরানের দেশীয় যুদ্ধবিমান

প্রথমবারের মতো দেশে তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমান পৃথিবীর সামনে আনল ইরান। তেহরান, ২১ আগস্ট। ছবি: এএফপি
প্রথমবারের মতো দেশে তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমান পৃথিবীর সামনে আনল ইরান। তেহরান, ২১ আগস্ট। ছবি: এএফপি

প্রথমবারের মতো দেশে তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমান পৃথিবীর সামনে আনল ইরান। আজ মঙ্গলবার তেহরানে জাতীয় প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে বিমানটি দেখানো হয়।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রদর্শিত বিভিন্ন ছবিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিকে জাতীয় প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে ‘কাওসার’ নামের নতুন একটি যুদ্ধবিমানের ককপিটে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। এটি হচ্ছে চতুর্থ প্রজন্মের একটি যুদ্ধবিমান। বিমানটি শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। ইতিমধ্যে এ যুদ্ধ বিমানের সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে।

হাসান রুহানি বলেছেন, তেহরানের এই সামরিক শক্তি শুধু শত্রুদের প্রতিরোধ করার জন্য তৈরি করা হয়নি, এটি ‘দীর্ঘস্থায়ী শান্তি’র জন্য তৈরি করা হয়েছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ‘কাওসার’ নামের নতুন যুদ্ধবিমানের ককপিটে। তেহরান, ২১ আগস্ট। ছবি: এএফপি
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ‘কাওসার’ নামের নতুন যুদ্ধবিমানের ককপিটে। তেহরান, ২১ আগস্ট। ছবি: এএফপি

রুহানি বলেন, ‘যখন আমরা আমাদের প্রতিরক্ষার প্রস্তুতির কথা বলি, তখন আমরা দীর্ঘস্থায়ী শান্তি খুঁজি। আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা যদি না থাকে, সামরিক শক্তি বৃদ্ধি না করি, এর অর্থ হলো আমরা যুদ্ধকে স্বাগত জানাচ্ছি। অনেকেই ভেবে থাকেন, আমরা সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছি, এর মানে হলো আমরা যুদ্ধ চাই। কিন্তু এটি শান্তির জন্য, কারণ আমরা যুদ্ধ চাই না।’

হাসান রুহানি বলেন, ‘আমরা যদি কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে না তুলি, তাহলে দেশে প্রবেশের জন্য অন্যদের কাছে এটি সবুজসংকেত হিসেবে ধরা দেবে।’

গত শনিবার ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমির হাতিমি দেশে প্রথম যুদ্ধবিমান তৈরির ঘোষণা দেন। ওই দিন তিনি বলেন, বুধবার এটি পৃথিবীর সামনে তুলে ধরা হবে। তিনি তাঁর দেশের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নতির চিত্রও তুলে ধরেন।