ধর্ষণ নিয়ে দুতার্তের কৌতুক, নিন্দা নারীবাদীদের

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। ছবি: রয়টার্স
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। ছবি: রয়টার্স

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের জিবে কামড় দেওয়ার ব্যাপারে সুনাম নেই। প্রকাশ্য জনসভায় অশালীন মন্তব্য করে ক্ষমতাবান হয়ে ওঠেন রদ্রিগো দুতার্তে। তারপর প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন, যে যুদ্ধে সহস্রাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার দুতার্তে ধর্ষণ নিয়ে কৌতুক করেছেন। সম্প্রতি পুলিশের প্রতিবেদন অনুসারে তাঁর নিজের শহর দাভাওতে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে। দুতার্তে একসময় শহরটির মেয়র ছিলেন।

দুতার্তে বলেন, ‘ওরা বলছে দাভাওতে ধর্ষণ বেড়ে গেছে। যত দিন অনেক সুন্দরী নারী আছেন, তত দিন আরও ধর্ষণের মামলা হবে।’

ফিলিপাইনভিত্তিক নিউজ ওয়েবসাইট র‍্যাপলারের বরাতে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, প্রেসিডেন্ট এরপর ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন করেন, ‘প্রথম অনুরোধে কে এটা করতে রাজি হন? নারীটি কি রাজি হবে? না। “এসো না, না, আহ।” কেউ প্রথম চেষ্টায় রাজি হন না। এটাই হলো ধর্ষণ।’

নারীবাদী গ্রুপগুলো প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের নিন্দা করেছেন। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র হ্যারি রোক দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘কৌতুক করে প্রেসিডেন্ট যে কথা বলেছেন, সেটাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই।’

‘ধর্ষণের কৌতুক হিসেবে ওগুলো ঠিক নয়,’ রোক বলেন, ‘তবে আমার বলতে পারি, অশোভন আর শোভনের মানের ক্ষেত্রে দক্ষিণ অনেক বেশি উদার।’

২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দুতার্তে এ ধরনের কত মন্তব্য করেছেন, তার হিসাব রাখা কঠিন। গত বছর তিনি কৌতুক করে সেনা শাসনে থাকা এলাকায়গুলোয় সৈনিকেরা শাস্তি ছাড়া তিনজন নারীকে ধর্ষণ করতে পারে বলে আল-জাজিরায় খবর হয়েছিল।

নির্বাচিত হওয়ার আগে প্রচারে গিয়ে এক জায়গায় তিনি অস্ট্রেলিয়ান মিশনারি জ্যাকুলিন হ্যামিলের ঘটনাটি টেনে আনেন। হ্যামিলকে ১৯৮৯ সালে এক কারা দাঙ্গায় কয়েদিরা গণধর্ষণ করে হত্যা করে। দুতার্তে তখন দাভাওর মেয়র ছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, ‘সে ধর্ষিত হওয়ায় আমি ক্রুদ্ধ হয়েছিলাম, সেটা এক কথা। কিন্তু তিনি এত সুন্দরী ছিলেন, মেয়রেরই প্রথম হওয়া উচিত ছিল। কী অপচয়।’

নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, আর যখন তাঁর মেয়ে বলেন, তাঁকে যৌন নিগ্রহ করা হয়েছিল, তখন তিনি (দুতের্তে) তাঁকে একজন ‘নাটকপ্রিয়’ বলে আখ্যায়িত করেন।