সুসম্পর্ক চাইলে লাইনে থাকো

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও যুক্তরাষ্ট্রর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল পম্পেও। ছবি: রয়টার্স
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও যুক্তরাষ্ট্রর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল পম্পেও। ছবি: রয়টার্স

ওয়াশিংটনের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাইলে পাকিস্তানকে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল সমর্থন করতে হবে। ট্রাম্প প্রশাসন এ কথা পাকিস্তানকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে। আগামী বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের নতুন সরকার ইসলামাবাদে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি আলোচনায় বসছে। পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডন এ খবর দিয়েছে।

এই কৌশল হচ্ছে আফগানিস্তানে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তালেবানদের কাবুলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য করার জন্য একই সঙ্গে সামরিক ও কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা।

ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে, তালেবান ও কাবুলের মধ্যে একটি কার্যকর সম্পর্ক স্থাপিত হলে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সম্মানজনকভাবে সেনা সরিয়ে নিতে পারে।

ওয়াশিংটন গত সপ্তাহে ইসলামাবাদকে এ ব্যাপারে প্রথম পরিষ্কার বার্তা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল পম্পেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ফোন করে ‘পাকিস্তানে সক্রিয় সব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ’ করতে বলেন।

প্রথম ইসলামাবাদ এই আলোচনা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছিল। পরে তারা আপত্তি থেকে সরে আসে।

দ্বিতীয় বার্তাটি এ সপ্তাহের প্রথম দিকে আসে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তানকে তার ভূমিকা পালনে তাগিদ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রধান ইসলামাবাদে যাচ্ছেন।