সিরিয়ায় হামলা চালাতে জোটের সঙ্গে আলোচনায় জার্মানি

সিরিয়ায় বিমান হামলা চালাতে চায় জার্মানি। ছবি: রয়টার্স
সিরিয়ায় বিমান হামলা চালাতে চায় জার্মানি। ছবি: রয়টার্স

সিরিয়ায় বিমান হামলায় অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে জার্মানি। গতকাল সোমবার জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, সিরিয়ায় সম্ভাব্য সামরিক হামলা চালাতে মিত্রদের সঙ্গে কথা বলছে তারা। জার্মানির এ পরিকল্পনার বিষয় নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস (এসপিডি)।

অতীতের নাৎসি আক্রমণের কথা বিবেচনায় জার্মানির পক্ষে বিদেশে কোনো সামরিক কার্যক্রম অজনপ্রিয় হিসেবে ধরা হয়। সিরিয়ার কোনো বিমান হামলায় অংশ নিলে তা সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর বিষয় হবে। কারণ, সেখানকার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন দিচ্ছে রাশিয়া।

জার্মান সরকারে মুখপাত্র স্টিফেন সেইব্রেত বলেন, আসাদ সরকারের সেনাদের রাসায়নিক অস্ত্র বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে সম্ভাব্য সামরিক আক্রমণ নিয়ে কথা হয়েছে। অবশ্য কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকার পার্লামেন্টে যাবে।

এর আগে সংবাদপত্র বিল্ড জানিয়েছিল, জার্মানির কনজারভেটিভ নেতৃত্বের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভবিষ্যতে দামেস্কে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি পরীক্ষা করছে। যদি জরুরি প্রয়োজন মনে হয়, ঘটনার পরও পার্লামেন্টকে জানানো হতে পারে।

এসপিডি বলছে, তারা পার্লামেন্টের মাধ্যমে বা সরকারি সিদ্ধান্তে কোনোভাবেই হামলা সমর্থন করবে না। সামরিক সমস্যাবিষয়ক সংসদীয় ন্যায়পাল হ্যান্স পিটার বার্টেলস বলেন, কোনো সামরিক হামলায় অংশ নেওয়া সংবিধানবিরোধী হবে যদি তাতে ন্যাটো, জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মতি না থাকে। এতে কমপক্ষে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সম্মতি থাকতে হবে।