নতুন গানে নিজের উঠে আসার গল্প বললেন জ্যাকো

আলী জ্যাকো। ছবিটি ইউটিউব থেকে নেওয়া
আলী জ্যাকো। ছবিটি ইউটিউব থেকে নেওয়া

মানুষ নিজের স্বপ্নের পিছু ছুটবে? বিবেক কী বলে, তা শুনবে? নাকি মন যা চায়, তা করবে? এমনি দ্বিধায় পূর্ণ মানবজীবন। আলী জ্যাকো সব সময় তাঁর মনের চাওয়াকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। নতুন গানে নিজের জীবনের বাধা ডিঙানোর গল্প তুলে ধরেছেন পেশাদার কিক বক্সার থেকে সংগীতশিল্পী বনে যাওয়া আলী জ্যাকো। ‘ফলো মাই হার্ট’ নামের ইংরেজি ভাষার নতুন গানটি মুক্তি পেয়েছে গত ৩১ আগস্ট। আর গতকাল সোমবার অনলাইনে অবমুক্ত করা হয় গানটির ভিডিওচিত্র।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আলী জ্যাকো যুক্তরাজ্যের হয়ে কিক বক্সিংয়ে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। ২০০২ সালে তিনি বক্সিং থেকে অবসর নেন। নতুন গানের ভিডিওচিত্রে তাঁর বক্সিং ফাইটের নানা চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

আলী জ্যাকো প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশি পরিবারের একটা ছেলে বিশ্বমঞ্চে কিক বক্সিং খেলবে, সেটি কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। নিজের পরিবার ও আশপাশের মানুষও এ কাজে উৎসাহ দেওয়ার সাহস পাননি। কিন্তু মন বলছিল তিনি পারবেন। তাই কারও কথায় দমে যাননি। নিজের মনের চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে তিনি সফল হয়েছেন। নিজের জীবনের সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ‘ফলো মাই হার্ট’ গানটির উৎপত্তি বলে জানালেন জ্যাকো।

তিনি বলেন, মাঝবয়সে গান শুরু করতে গিয়ে আবারও তাঁকে একই রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। প্রত্যেক মানুষের জীবনে এমন পরিস্থিতি আসে। নানা বাধা সামনে আসে। অন্যের অযাচিত মন্তব্য কিংবা বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকলে সাফল্য আসবেই। নতুন গানে জীবনের এমন বাস্তবতার কথাই তুলে ধরা হয়েছে।

ভিডিওচিত্রের একেবারে শেষদিকে ভেসে উঠে কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে আলী জ্যাকোর একটি ছবি। সঙ্গে লেখা, ‘মোহাম্মদ আলী হচ্ছেন আলী জ্যাকোর অনুপ্রেরণা’। ১৯৭৮ সালে মাত্র ৯ বছর বয়সে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে বাংলাদেশগামী একটি ফ্লাইটে প্রথম দেখা হয়েছিল আলী জ্যাকোর।

গানটির কথা জ্যাকোর নিজের লেখা। সুর করেছেন চার্লি ড্রিউ। জ্যাকোর নিজস্ব প্রোডাকশন হাউস জিএমিউজিক থেকে গানটি মুক্তি পেয়েছে। ইউটিউব, আইটিউন, স্পটিফাইসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গানটির অডিও-ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে।

চলতি বছর মোট ১১টি গান বাজারে ছাড়ার লক্ষ্য নিয়েছেন আলী জ্যাকো। ‘ফলো মাই হার্ট’সহ এখনো পর্যন্ত বাজারে এসেছে আটটি গান।

গানের লিংক:
https://youtu.be/vuX_iSa43jE