কুলসুমের দাফনে অংশ নিতে প্যারোলে ১২ ঘণ্টার জন্য মুক্ত নওয়াজ-মরিয়ম

এয়ারবাসে লাহোরের পথে নওয়াজ শরিফ (ডানে), তাঁর মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ ও জামাতা সফদার। ছবি: পাকিস্তান মুসলিম লিগ মিডিয়া সেলের সৌজন্যে
এয়ারবাসে লাহোরের পথে নওয়াজ শরিফ (ডানে), তাঁর মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ ও জামাতা সফদার। ছবি: পাকিস্তান মুসলিম লিগ মিডিয়া সেলের সৌজন্যে

সদ্যপ্রয়াত স্ত্রী কুলসুমের দাফন অনুষ্ঠানে শামিল হতে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ ও জামাতা মোহাম্মদ সফদারও প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন। আজ বুধবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগার থেকে বের হয়ে এয়ারবাসে করে তাঁরা লাহোরে পৌঁছান।

পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র বিভাগের নির্দেশে ওই তিনজনকে ১২ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। তবে আগামী শুক্রবার বিকেলে লাহোরে কুলসুমের মরদেহ সমাহিত করা পর্যন্ত প্যারোলের সময় বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ জানিয়েছে, অন্তত পাঁচ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দিতে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু তাঁদের ১২ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। লাহোরের জাতি উমরায় তাঁদের থাকার জন্য তিনটি কক্ষকে ইতিমধ্যে সাব-জেল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে কাল বৃহস্পতিবার লন্ডনে কুলসুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পরদিন শুক্রবার তাঁর মরদেহ লাহোরে আনা হবে এবং জাতি উমরায় সমাহিত করা হবে।

গত মঙ্গলবার ভোরে নওয়াজ শরিফের স্ত্রী কুলসুম নওয়াজ (৬৮) লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে শেষে পর্যন্ত না ফেরার দেশে চলে যান তিনি । ফুসফুসের সমস্যা ও ক্যানসারে আক্রান্ত কুলসুম নওয়াজ ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে লন্ডনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চলতি বছরের ১৪ জুলাই তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়। নওয়াজ ও কুলসুম দম্পতির চার সন্তান—হাসান, হুসাইন, মরিয়ম ও আসমা।

কুলসুম ১৯৫০ সালে লাহোরে একটি কাশ্মীরি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামিয়া কলেজে পড়াশোনা করেন এবং লাহোরের ফরম্যান খ্রিষ্টান কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন। ১৯৭০ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উর্দু বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর নওয়াজ শরিফকে বিয়ে করেন।