ভোটযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের এখনো ছয় থেকে সাত মাস বাকি। কিন্তু তার আগেই ভারতের শাসক দল বিজেপি এবং পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ভোটযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

তৃণমূলের ‘ডিজিটাল সৈনিকেরা’ ‘বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই আর মমতাকে প্রধানমন্ত্রী চাই’ স্লোগান নিয়ে সাইবার জগতের মাঠে নেমে পড়েছেন। তাঁদের একটাই দাবি—একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী আর সেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

এ লক্ষ্যে ২৩ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কলকাতার অহীন্দ্র মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসের হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক গ্রুপগুলোর পরিচালকদের (ডিজিটাল পরিভাষায় অ্যাডমিন) মধ্যে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভার মূলমন্ত্র হলো ‘চলো বদলাই, এবার বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই’। মমতার ডিজিটাল সৈনিকদের গড়া সংগঠন ‘ফ্যাম’-এর এটি প্রথম সভা। ‘ফ্যাম’-এর লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনেই মমতার বিজয়কে সুনিশ্চিত করা। তাই জনমত তৈরি করতে স্লোগান থাকবে ‘অঙ্গীকার ২০১৯, বাংলায় ৪২-এ ৪২’।

মমতার ডিজিটাল সৈনিকেরা এর মধ্যে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১৬৭টিতে গঠন করেছেন ফ্যাম। এক মাসের মধ্যে বাকি কেন্দ্রেও গঠন করা হবে ফ্যাম। ফ্যামের এক কর্মকর্তা জানান, ফেসবুকে ৩০টি গ্রুপ এরই মধ্যে সক্রিয় রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে এই সংখ্যা ৩০০। এরা সবাই ফ্যামের সদস্য। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে সাড়ে ৮০০ গ্রুপ অ্যাডমিন রয়েছে। এই অ্যাডমিনরাই ২৩ সেপ্টেম্বরের অহীন্দ্র মঞ্চে আয়োজিত সভায় উপস্থিত থাকবেন। ভুয়া খবর মোকাবিলার বিষয়ে সদস্যদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে সভায়।

এই গ্রুপের কাজ হবে বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর দাবিকে জনপ্রিয় করে তোলা, তৃণমূলবিরোধী এবং বিজেপির কুৎসার বিরুদ্ধে জবাব দেওয়া। এই সৈনিকদের মূল কাজ হবে বিজেপি বা আরএসএসের অনুগতদের ফেসবুক পেজে ঢুকে প্রতিটি পোস্টের যোগ্য জবাব দেওয়া।

আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে এই নির্বাচন হওয়ার কথা।