ধারের ২০০-তে এল দেড় কোটি

২০০ রুপি ধার করে লটারি কিনে দিনমজুর মনোজ কুমার এখন কোটিপতি।
২০০ রুপি ধার করে লটারি কিনে দিনমজুর মনোজ কুমার এখন কোটিপতি।

২০০ টাকা ধার করে লটারি কিনেছিলেন দিনমজুর মনোজ কুমার। সেই লটারিতে পুরস্কার জিতে তিনি এখন কোটিপতি। পুরস্কার হিসেবে মনোজ পেয়েছেন দেড় কোটি রুপি। এক লটারিতে রাতারাতি জীবন একেবারে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গেল ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যর মনোজ কুমারের।

মনোজ কুমার পাঞ্জাবের সংগরুর গ্রামের বাসিন্দা। অভাব অনটনের সংসার। ইটভাটায় কাজ করেন। স্ত্রী রাজ কৌরও সংসারের হাড় ভাঙা পরিশ্রম করেন। সারা দিনের পরিশ্রমের পর মনোজের হাতে উঠে ২৫০ রুপি। একদিন কপাল ফেরাতে ধার করে কেনেন লটারি। এরপরই রাতারাতি বদলে গেল জীবন।

প্রতিবেশীর কাছে ২০০ রুপি ধার করে রাজ্য সরকারের রক্ষী বাম্পার লটারির একটি টিকিট ২৫০ রুপিতে কেনেন মনোজ কুমার। ৩০ আগস্ট হয় লটারির ড্র। এরপরই পাল্টে গেছে মনোজ ও রাজের জীবনযাপন। দেড় কোটি রুপির লটারি জিতে মনোজ কুমার এখন কোটিপতি।

দিন আনে দিন খায় অবস্থা মনোজের। সেটার পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। অর্থ এখনো হাতে না পেলেও আবাসন ব্যবসায়ী ও ব্যাংকারেরা এখন ঘুর ঘুর করছেন তাদের পেছনে। বাড়ি বানানো এবং অর্থের সংস্থানে আবাসন প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক মনোজের পেছন পেছন ছুটছে।

মনোজের তিন কন্যা। সংসারে অভাবের কারণেই বড় মেয়েটি দ্বাদশ শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েই শুরু করেন চাকরি খোঁজা। লটারি জেতার পর বাবাই এখন তাঁকে আবার পড়া শুরু করতে বলেছেন।

মনোজের বাবা হাওয়া সিং ছিলেন অ্যাজমার রোগী। এ রোগরে মৃত্যু হয়েছে হাওয়া সিংয়ের। বাবার রোগের ওষুধের অর্থ কিনতে বেশি বেশি করে কাজও করতেন। মনোজ আক্ষেপ করে বলেন, সামান্য কিছু অর্থ জমিয়েছিলাম। বাবার চিকিৎসায় সব ব্যয় হয়ে যায়। তবু তাঁকে বাঁচাতে পারিনি। এই অর্থ আরও আগে পেলে বাবাকে বাঁচানো যেত। এখন কোটি ইট ভাটার শ্রমিক মনোজ বলেন, দিনে ২৫০ রুপির বেশি আয় করা কঠিন ছিল। প্রতি ইটের জন্য পেতাম ৫০ পয়সা।

এলাকার ডাকপিয়ন প্রথম মনোজ ও তার স্ত্রীকে লটারি জয়ের খবর জানান। মনোজের স্ত্রী বলেন, সরকারের লোক ও ডাক পিয়ন যখন এসে জানালেন আমরা লটারিতে পুরস্কার পেয়েছি, তখন মনে হচ্ছিল এটা কোনো গল্প। কিন্তু খবরের কাগজের নম্বরের সঙ্গে মেলানোর পরই বুঝতে পারি ঘটনা সত্য এবং আমি হতবাক হয়ে যাই।

কোটি রুপি কি করবেন-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কিছুক্ষণ ভেবে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া মনোজ কুমার বলেন, কাচা বাড়িটি এখন পাকা করতে চাই। আর ব্যবসা শুরু কর পরিবারকে সচ্ছল রাখতে চাই। তথ্যসূত্র: টাইমস নাও এবং হিন্দুস্তান টাইমস।