ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে সুপার টাইফুন 'ম্যাংখুত'

সুপার টাইফুন ‘ম্যাংখুত’ আঘাত হানার আগে সরকার নির্ধারিত আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে মানুষ। ছবি: এএফপি
সুপার টাইফুন ‘ম্যাংখুত’ আঘাত হানার আগে সরকার নির্ধারিত আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে মানুষ। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যারোলাইনা উপকূলে যখন আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ফ্লোরেন্স, ঠিক তখনই ফিলিপাইনের চলছে সুপার টাইফুন ‘ম্যাংখুত’-এর আঘাত হানার শঙ্কায় সতর্কতা। শক্তিশালী এ ঝড় ধেয়ে আসছে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলের দিকে। এরই মধ্যে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সতর্কতা হিসেবে বহু লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে।

সিএনএনের খবরে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ম্যাংখুতের আঘাতে ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। বিপুল সম্পদহানির আশঙ্কা তো রয়েছেই। আমেরিকার পূর্ব উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ফ্লোরেন্সের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ঝড় ম্যাংখুত। ঝড়টি স্থানীয় সময় ১৫ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকালে ফিলিপাইনের উত্তর উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ঝড়টির বর্তমান বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮০ মাইল (২৮৫ কিলোমিটার)। ফিলিপাইনবাসীকে চোখ রাঙানো এ ঝড় ক্যাটাগরি-৫ হারিকেনের সমান শক্তিশালী। ঝড়টির কারণে শুধু ফিলিপাইনেই নয়, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলজুড়েই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসার পথে ম্যাংখুত বিধ্বস্ত করে এসেছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়াম ও মার্শাল আইল্যান্ড। ১৪ সেপ্টেম্বর অঞ্চল দুটি অতিক্রম করে ম্যাংখুত। এর প্রভাবে দুটি দ্বীপাঞ্চলেই ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা হয়েছে। গুয়ামের বেশ কিছু অঞ্চল এখনো পানির তলায় ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।
ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় ম্যাংখুতকে ২০১৩ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় হাইয়ানের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় হাইয়ানের প্রভাবে সে বছর ফিলিপাইনসে ৬ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।
ফিলিপাইনের মানবাধিকার সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের মুখপাত্র ল্যানেলিন ক্যারিলো সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতিতে পড়ার আশঙ্কা করছি। ঘূর্ণিঝড় হাইয়ানের মতো ভয়াবহ কোনো ঝড়ের মুখে পড়তে যাচ্ছি বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’