টাইফুনে ফিলিপাইনে নিহত ২০, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

কাগায়ান প্রদেশের বাগাও শহরে টাইফুন মাংখুতে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর। ছবিটি ওপর থেকে তোলা। ১৬ সেপ্টেম্বর। এএফপি।
কাগায়ান প্রদেশের বাগাও শহরে টাইফুন মাংখুতে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর। ছবিটি ওপর থেকে তোলা। ১৬ সেপ্টেম্বর। এএফপি।

টাইফুন মাংখুতের আঘাতে ফিলিপাইনে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিবিসি অনলাইনের এক খবরে বলা হয়, কমপক্ষে ২০ জন মানুষ মারা গেছে। তবে বন্ধ রাস্তা ও অচল যোগাযোগব্যবস্থার কারণে গ্রামাঞ্চলে ঝড়ের প্রকৃত আঘাতের চিত্র এখনো স্পষ্ট নয়।

কৃষিনির্ভর কাগায়ান প্রদেশে ব্যাপক ফসলহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঝড়টি বর্তমানে দক্ষিণ চীন অভিমুখে এগোচ্ছে।

ফিলিপাইনে ঝড়টি উত্তর-পূর্বের প্রধান দ্বীপ ল্যজনের বাগাওতে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৪০ মিনিট) আঘাত হানে এবং ২০ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়।

প্রথমে এটিকে ২০১৮ সালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় বলা হচ্ছিল। স্থলভাগে আঘাত হানার সময়ে ঝড়টি এর কিছু শক্তি হারায়।

এর গতিপথে ৫০ লাখ মানুষ পড়েছিল এবং এক লাখেরও বেশি মানুষ অস্থায়ী শেল্টারে ছিল।

সুপরিকল্পিত অপসারণ এই শক্তিশালী ঝড়ের গতিপথে পড়া এলাকাগুলোয় প্রাণহানির সংখ্যা সীমিত রেখেছে।

বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলো থেকে এখনো কিছু জানা যায়নি। তবে ঝড়ের সঙ্গে আসা বিপুল বৃষ্টি অসংখ্য ভূমিধস সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি মারাত্মক।

ফিলিপাইনের এ অংশ পাহাড়ি। ব্যাপক হারে গাছপালা কেটে ফেলায় এখানে প্রায়ই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। ঝড়ের চোখ থেকে বেশ দূরে হলেও জনপ্রিয় রিসোর্ট শহর বাগুইওতে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়।

প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুর্তাতে ক্ষতির পরিমাণ অনুমান করতে আজ রোববার প্লেন থেকে উত্তর ফিলিপাইন পরিদর্শন করেন। অতীতে একটি টাইফুনে যথাযথ সাড়া দেওয়া হয়নি এমন ধারণার কারণে দুর্তাতের পূর্বসূরির রাজনৈতিক অবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।