প্রতিটি দেশের সরকারের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত

একাডেমি অব ফাইন আর্টস মিলনায়তনে ইন্দো-বাংলাদেশ কালচারাল সেন্টার আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত সংলাপ: সংখ্যালঘু নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। কলকাতা, ভারত, ১৬ সেপ্টেম্বর। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি।
একাডেমি অব ফাইন আর্টস মিলনায়তনে ইন্দো-বাংলাদেশ কালচারাল সেন্টার আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত সংলাপ: সংখ্যালঘু নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। কলকাতা, ভারত, ১৬ সেপ্টেম্বর। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি।

উপমহাদেশের প্রতিটি দেশের সরকারের সে দেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত। শুধু শারীরিক দিক থেকে নিরাপত্তা নয়, তাদের মানসিক দিকের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করা দরকার। প্রতিটি সংখ্যালঘুকে এমনভাবে তৈরি করা, যাতে তাদের মনে এমন ধারণা না জন্মে যে তারা সেই দেশে উপেক্ষিত।

ভারতের কলকাতায় একাডেমি অব ফাইন আর্টস মিলনায়তনে আজ রোববার ইন্দো-বাংলাদেশ কালচারাল সেন্টার আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত সংলাপ: সংখ্যালঘু নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেছেন বিশিষ্টজনেরা।

অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজনেরা বক্তৃতা করেন। সেমিনারটি আয়োজন করে ‘ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি ফর টেরর ফ্রি ওয়ার্ল্ড’ এবং ‘গ্লোবাল মাইনরিটি ভয়েস’।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য প্রতিটি দেশকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

বাংলাদেশে থেকে আসা আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, বাংলাদেশ সরকার সব সময় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য সচেষ্ট। আসন্ন সংসদ নির্বাচনেও সরকার সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। তাঁরা চান শঙ্কামুক্ত নির্বাচন হোক। মানুষ গণতান্ত্রিকভাবে তাঁদের ভোট প্রয়োগ করুক।

চার পর্বের সেমিনারে অংশ নেন খন্দকার আহসান হাবিব, অধ্যাপক ইউসুফ আবদুল্লাহ, অধ্যাপক দেবাশীষ কুমার কুণ্ডু, ইন্দো-বাংলাদেশ কালচারাল সেন্টারের সভাপতি সৈয়দ তানভির নাসরিন, সাধারণ সম্পাদক অলেন্দু গোস্বামী। বিশিষ্টজনের মধ্যে ছিলেন প্রদীপ হালদার, গদাধর চট্টোপাধ্যায়, গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়, সাদেকা হালিম, খালিদ মোহাম্মদ চৌধুরী, সমীর কুমার মিত্র, পংকজ রায়, কাজী মোজাহারুল ইসলাম দোলন, প্রতীম রঞ্জন বোস, প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া, জয়নাল আবেদিন, জয়ন্ত কুমার রায়, অমিত গোস্বামী, এ টি এম আনিসুর রহমান বুলবুল, সাংবাদিক রক্তিম দাস, অঞ্জন সেনগুপ্ত প্রমুখ।