ভদকার বর্জ্যে চলছে দুর্দান্ত মোটরসাইকেল

পরিত্যক্ত মোটরসাইকেলটি এখন চলছে ভদকার বর্জ্যে। ছবি: সংগৃহীত
পরিত্যক্ত মোটরসাইকেলটি এখন চলছে ভদকার বর্জ্যে। ছবি: সংগৃহীত
মোটরসাইকেলটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পান মার্কিন নাগরিক ভদকা ব্যবসায়ী রায়ান। ভদকার বর্জ্যই এখন মোটরসাইকেলের জ্বালানি। ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার গতিতে চলা এই বাইকটি এখন চলছে ভদকার বর্জ্যে।

অ্যালকোহল জাতীয় বর্জ্য পদার্থে চলছে মোটরসাইকেল। পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া সেই মোটরসাইকেলটির মালিক যুক্তরাষ্ট্রের ওঠিয়ার ভদকা ব্যবসায়ী রায়ান মন্টোগোমারি। ২৬ আগস্ট সেই মোটরসাইকেলটি চালিয়ে রেকর্ডও গড়েছেন মোটরবাইকার।

বছরখানেক আগে যুক্তরাষ্ট্রের ওঠিয়ার পরিত্যক্ত একটি ফাঁকা মাঠে ইয়ামাহা এক্সএস ৬৫০ মডেলের একটি মোটরসাইকেল দেখতে পান ভদকা ব্যবসায়ী রায়ান মন্টোগোমারি। ১৯৮০ সালের মডেলের মোটরসাইকেলটি বাড়িতে নেন ৪১ বছর বয়সী রায়ান। এরপরই তিনি ওই ইয়ামাহা মোটরসাইকেলটিকে তৈরি করে ফেলেন তেল ছাড়া চালানোর বাইক। গত ২৬ আগস্ট সেই মোটরসাইকেল ১৮৫ কিলোমিটার গতিতে চালিয়ে রেকর্ডও গড়া হয়েছে।

তেল নয়, ভদকার বর্জ্য ভরছেন মোটরসাইকেলের ট্যাংকে। ছবি: সংগৃহীত
তেল নয়, ভদকার বর্জ্য ভরছেন মোটরসাইকেলের ট্যাংকে। ছবি: সংগৃহীত

রায়ান উৎকৃষ্ট মানের মদ প্রস্তুতকারক। তিনি দেখেছেন ভদকা তৈরির পর যে বর্জ্য পদার্থ অবশিষ্ট থাকে, তা জ্বালানি হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে। মোটরসাইকেলটি পাওয়ার পর সেই বর্জ্য পদার্থকে কাজে লাগান রায়ান। তেল ছাড়া কীভাবে ভদকার বর্জ্য দিয়ে মোটরসাইকেল চালানো যায়, তা নিয়ে বছরখানেক পড়াশোনা করেছেন। দিনের অনেকটা সময় মোটরসাইকেলটি নিয়ে গ্যারেজে সময় কাটিয়েছেন তিনি। এরপরই ওই ইয়ামাহা মোটরসাইকেলটিকে তৈরি করে ফেলেন ‘অ্যালকোহলিক ওয়েস্ট’ বা ভদকার বর্জ্য পদার্থে চলা মোটরসাইকেল। ৬৫০ সিসির মোটরসাইকেলটিকে বানিয়ে ফেলেন ৭৫০ সিসির।

রায়ান মন্টোগোমারি ভদকার যে বর্জ্য পদার্থ দিয়ে মোটরসাইকেলটি চালিয়েছেন, তাকে বলা হয় ‘হেড’। ‘হেড’ নামের তরল পদার্থটি পানের অযোগ্য হলেও জ্বালানি হিসেবে বেশ ভালো। তাই অনেক কম খরচে মোটরসাইকেলটি চালাতে পারেন রায়ান। তিনি মোটরসাইকেলটির নাম দিয়েছেন ‘সাডেন ওয়াইজডম’। বাইকটি চলেও দুর্দান্ত গতিতে। বাইকটি ঘণ্টায় গড়ে ১১৩ মাইল (১৮৫ কিলোমিটার) গতিতে চালিয়েছেন রায়ান। এটি রেকর্ডও। ২৬ আগস্ট স্থানীয় মোটর রেসের প্রতিযোগিতায় এ রেকর্ড গড়েন রায়ান। তথ্যসূত্র: ফক্স নিউজ।