অস্ট্রেলিয়ায় সুই আতঙ্কে স্ট্রবেরি খাওয়া বন্ধ

স্ট্রবেরি। রয়টার্স ফাইল ছবি
স্ট্রবেরি। রয়টার্স ফাইল ছবি

গোটা অস্ট্রেলিয়ায় সুই আতঙ্কে স্ট্রবেরি খাওয়া বন্ধ করেছে দিয়েছে লোকজন। এ কারণে স্ট্রবেরি কৃষক ও ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

স্ট্রবেরিতে সুই কীভাবে এল, তা এখনো খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কোনো বৃহৎ ক্ষতির উদ্দেশে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে স্ট্রবেরিতে সুই ঢুকিয়ে দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনার মূল হোতাদের ধরিয়ে দিতে কুইন্সল্যান্ড রাজ্য সরকার এক লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়াজুড়ে স্ট্রবেরিতে কাপড় সেলাইয়ের সুই পাওয়ার ঘটনায় সুস্বাদু এই ফল এখন দেশটিতে একটি আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউই এখন আর এই ফল কিনছে না। ট্রাকে ট্রাকে পচে যাওয়া স্ট্রবেরি ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এতে স্ট্রবেরি চাষি ও ব্যবসায়ীদের চরম লোকসান গুনতে হচ্ছে।

স্ট্রবেরির সুই আতঙ্ক দেশটির অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। এ নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নতুন আইন তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। নতুন আইন বাস্তবায়ন হলে দেশটিতে খাদ্যে গরমিল করার অপরাধে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ বছরের জেল হতে পারে।

৯ সেপ্টেম্বর স্ট্রবেরিতে সুই থাকার ঘটনাটি প্রথম জনসমক্ষে আসে। অজান্তেই সুইযুক্ত স্ট্রবেরি খেয়ে ফেলে ব্রিসবেনের এক তরুণ। এরপর দেশটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক স্ট্রবেরিতে সুই পাওয়ার খবর প্রকাশ হতে থাকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।

১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ প্রথম স্ট্রবেরিতে সুই থাকার তথ্য নিশ্চিত করে। এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সাতটি স্ট্রবেরি বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের স্ট্রবেরিতে সুই পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই সরকারি আদেশে বাজার থেকে তাদের স্ট্রবেরি সরিয়ে নিয়েছে। বাজারফেরত স্ট্রবেরি শহর থেকে দূরে নিয়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।

লোকসান সামাল দিতে স্ট্রবেরিচাষিদের হিমশিম অবস্থা। অনেক চাষি ধাতু শনাক্তকরণ যন্ত্র কিনে ব্যবহার করছেন। এতে গড়ে প্রায় ২০ হাজার ডলার বাড়তি খরচ হচ্ছে চাষিদের।

স্ট্রবেরিতে সুই কীভাবে এল, তা এখনো খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে কোনো বৃহৎ ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃতভাবে স্ট্রবেরিতে সুই ঢুকিয়ে দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কুইন্সল্যান্ড রাজ্য সরকার মূল হোতাদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করলেও স্ট্রবেরি খেতে নিরুৎসাহিত করেনি। তবে সাবধানতা হিসেবে স্ট্রবেরি কেটে খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।