বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ শিশু স্কুলবঞ্চিত: জাতিসংঘ

বিশ্বে প্রতি পাঁচ শিশুর একজন স্কুলে যেতে পারছে না। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে আজ বুধবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতীকী ছবিটি রয়টার্সের
বিশ্বে প্রতি পাঁচ শিশুর একজন স্কুলে যেতে পারছে না। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে আজ বুধবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতীকী ছবিটি রয়টার্সের

সারা বিশ্বের প্রতি পাঁচ শিশুর একজন স্কুলে যেতে পারছে না। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে আজ বুধবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। বিশ্বব্যাপী ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় ৩০ কোটি শিশু স্কুলে যায় না। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব শিশু স্কুলে যেতে পারছে না, তাদের এক-তৃতীয়াংশ সংঘাত বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত অঞ্চলে বসবাস করে।

প্রতিবেদনটির শিরোনাম ‘আ ফিউচার স্টোলেন: ইয়ং অ্যান্ড আউট-অব-স্কুল’। এতে বলা হয়েছে, বিশ্বে বর্তমানে প্রতি পাঁচ শিশুর দুজন কখনো প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা শেষ করতে পারে না।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, যখন একটি দেশে সংঘাত শুরু হয় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হয়, তখন সেই দেশের শিশু ও তরুণেরা দুই দফা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রথমেই তাদের স্কুল ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কখনো সামরিক বাহিনী সেগুলো দখল করে নেয় বা আক্রমণ চালায়। এভাবেই শিশুরা স্কুলের বাইরে চলে যায় এবং তাদের খুব কম অংশই ফিরতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদে এই শিশুরা এবং তাদের দেশগুলো দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রে পড়ে যায়।

ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী শিক্ষার পেছনে তহবিল বাড়ানো প্রয়োজন। প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সংস্থাটির প্রধান বলেছেন, ‘এটি ইতিহাসের একটি সংকটজনক মুহূর্ত। আমরা যদি জরুরি ও বিজ্ঞ পদক্ষেপ নিতে পারি, তবে শান্তি ও সমৃদ্ধিশালী সমাজ গড়ে তুলতে তরুণদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলা যাবে।’