ত্রিপুরার মাদকের বেশির ভাগ পাচার হয় বাংলাদেশে

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ছবি: এএফপি
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ছবি: এএফপি

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচার হয় বাংলাদেশে। ওই অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের বড় বাজার বাংলাদেশ। তাই নিজ অঞ্চলকে মাদকমুক্ত করার পাশাপাশি বাংলাদেশে মাদক পাচার ঠেকাতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনায় এই পদক্ষেপের কথা জানালেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ত্রিপুরার মাদকবিরোধী অভিযানে মোদি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।

ত্রিপুরায় তাঁর সরকারের ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার পর গতকাল দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন বিপ্লব দেব। বৈঠকে ‘নেশামুক্ত ত্রিপুরা’ গড়তে তাঁর সরকারের সাফল্য তিনি তুলে ধরেন।

ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের বিবৃতি অনুযায়ী মোদিকে বিপ্লব জানিয়েছেন, গত ছয় মাসে ত্রিপুরায় ৪৫ হাজার কেজি গাঁজা, ৮৮ হাজার বোতল ফেনসিডিল, ১ লাখ ৪৮ হাজার নেশার ট্যাবলেট, ২ হাজার ৫০০ গ্রাম হেরোইন তাঁরা বাজেয়াপ্ত করেছেন। এ ছাড়া ১ কোটি ৬৯ লাখ গাঁজার গাছ ধ্বংস করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই বিপুল পরিমাণ নেশা সামগ্রীর বেশির ভাগই বাংলাদেশে পাচার হতো। বাংলাদেশের যুবকেরা ধ্বংস হচ্ছিল এই নেশার কবলে। তাই ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের যুবকদের সর্বনাশা নেশার হাত থেকে বাঁচাতেই তাঁর সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।

জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গে ত্রিপুরা সরকারকে তিনি সব রকমের সহায়তার আশ্বাস দেন। গাঁজা চাষের বদলে রাজ্যবাসীকে বিকল্প অর্থ উপার্জনেও ত্রিপুরাকে সহায়তার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন বিপ্লব। বৈঠকে ত্রিপুরায় সীমান্ত এলাকায় ৭১ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়ার কাজ শেষ করার অনুরোধ জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের ৮৫৬ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে ৭৮৫ কিলোমিটারে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, বাকি ৭১ কিলোমিটারের কাজ শেষ হলে মাদক ও গাঁজা চোরাকারবার নিয়ন্ত্রণে আরও সুবিধা হবে।

জানা গেছে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।