পশ্চিমবঙ্গের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ তুলে দেওয়ার পরামর্শ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে নিয়মিত সংঘর্ষ হয়। দলীয় কোন্দল চরম রূপ নেয়। তাই কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি কলেজ-বিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি রাজভবনে দক্ষিণবঙ্গের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে এক বৈঠকে এই পরামর্শ দেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

এ সময় রাজ্যপাল বলেন, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিং যখন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি উত্তর প্রদেশে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। এই উদাহরণ টেনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রাজ্যপাল বলেন, এই রাজ্যে কি ছাত্র সংসদ তুলে দিতে পারবেন তিনি? এ সময় শিক্ষামন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে ইতিমধ্যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের পরিবর্তে অরাজনৈতিক ‘স্টুডেন্টস কাউন্সিল’ গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যদিও এদিন রাজ্যপাল কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। প্রশ্ন তোলেন, কেন যাদবপুরে ভর্তিতে অভিন্ন নিয়ম নেই? প্রেসিডেন্সির হিন্দু হোস্টেল কেন সংস্কারে বিলম্ব হচ্ছে? কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার দিনে সমাবর্তন উৎসব হচ্ছে না? কেনইবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে ছাত্রছাত্রীদের আসন খালি থাকছে? এসব আলোচনার মাঝে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সুরঞ্জন দাস ও প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া পদত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন।

যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সির ছাত্ররা ঘোষণা দিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি অরাজনৈতিক কাউন্সিল গড়া হয়, তবে তাঁরা ফের বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে আন্দোলন গড়ে তুলবেন।