ট্রাম্পের টুইট বন্ধ হলেই কমবে তেলের দাম

তেলের দাম সম্প্রতি বাড়ছে। আর এর কারণ নাকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইট। তেল উৎপাদক দেশগুলোর জোট ওপেকে ইরানের প্রতিনিধির মন্তব্য এমনই। তিনি বলেছেন, তেল নিয়ে ট্রাম্পের টুইট বন্ধ হলেই কমবে দর।

ইরানের ওই প্রতিনিধির নাম হোসেইন কাজেমপউর। তিনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি তেলের দাম নিয়ে টুইট করা বন্ধ করেন, তবে এমনিতেই কমে যাবে তেলের দাম। তিনি মধ্যপ্রাচ্যে তেলের দাম নিয়ে ট্রাম্পের টুইট করাকে ‘বদ অভ্যাস’ বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্পের এমন টুইট অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। ট্রাম্প যদি অপরিশোধিত তেলের দাম নিয়ে টুইট করা বন্ধ করেন তাহলে বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য সহনীয় মাত্রায় নেমে আসবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিএনবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে হোসেইন কাজেমপউর বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ওপেকের সদস্য দেশগুলোর ওপর তেলের দাম কমাতে ক্রমাগত রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে। এ চাপ সৃষ্টি করছে নিজেদের স্বার্থেই। ওপেকের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র উসকানি না দিলে এবং শান্ত থাকলে তেলের দাম এমনিই সহনীয় অবস্থায় থাকবে। কাজেমপউর বলেন, ‘আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলছি, শান্ত থাকুন, টুইট করা বন্ধ করুন। আশ্বাস দিচ্ছি, তেলের মূল্য স্থির থাকবে।’

হোসেইন কাজেমপউর বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর ওপেকের মাধ্যমে তেল রপ্তানিতে যে চাপ সৃষ্টি করছে তার সঙ্গে ইরানি আচরণ পরিবর্তনের কোনো সম্পর্ক নেই। ইরান ছাড়া ওপেকের সদস্য রাষ্ট্রগুলো চায় না যুক্তরাষ্ট্র তেল নিয়ে রাজনীতি করুক। তিনি বলেন, ইরানের ওপর মার্কিন এ আচরণ অগ্রহণযোগ্য।

গত মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তির সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এরপর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, ইরানের কাছ থেকে যারা তেল কেনে তাদের আগামী নভেম্বরের মধ্যে তেল কেনা বন্ধ করতে হবে। ইরানের তেল কেনা অব্যাহত রাখলে তাদেরও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে।

ওপেকের প্রেসিডেন্ট ও আবর আমিরাতের জ্বালানি ও শক্তিবিষয়ক মন্ত্রী সুহেল আল মাজৌরি বলেছে, ‘ওপেক একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। আমাদের কাজ হলো উৎপাদনকারী দেশগুলো তেল উৎপাদন করে বাজারে মূল্য সমতা ঠিক রাখার জন্য।’