চকলেটের বাড়ি

বাড়ি কতটা আপন আর কাছের, তা বোঝাতে লোকজন ‘আমার মিষ্টি বাড়ি’ শব্দটা ব্যবহার করে থাকেন। সেটা থাকে কথার কথা। তবে বাড়িটা যদি মিষ্টি চকলেটের হয়, তাহলে তো সেটা আর কথার কথা থাকে না। বরং রূপকথার গল্পের মতো মনে হয়!

তবে রূপকথার গল্পের পাতায় নয়, সত্যি সত্যি এমন বাড়ি আছে। সেটার অবস্থান ফ্রান্সের প্যারিসের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সেভরিসে। পুরো বাড়ি চকলেটের তৈরি। বাড়ির দেয়াল, আগুন পোহানোর জায়গা, ছাদ একেবারে চকলেটের। এখানেই শেষ নয়। ঘরের ভেতরে সাজিয়ে রাখা জিনিস, ঘড়ি, বই, ঝাড়বাতি—সবই চকলেটের। ফুলের বিছানা আর পুকুরের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য রাখা হাঁসটিও সাদা চকলেটে বানানো।

অভিনব এই বাড়ির নকশা করেছেন জ্যঁ-লু দেকলুজঁ। তিনি চকলেট দিয়ে ভাস্কর্য বানিয়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তাঁর খ্যাতিকে কাজে লাগিয়ে এমন বাড়ির নকশা করে নেয় অনলাইনে হোটেল বুক করার প্রতিষ্ঠান বুকিং ডট কম। পরে তাঁকেই বাড়িটি বানিয়ে দিতে বলা হয়। এমন প্রস্তাবে খুশিমনে রাজি হয়ে বাড়ি বানান তিনি। এ সপ্তাহ থেকেই চকলেটের বাড়িতে থাকতে পারবেন পর্যটকেরা।

উচ্ছ্বসিত জ্যঁ-লুক দেকলুজঁ বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি চকলেটের বাড়ি বানানোর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারব। এটা করতে পেরে আমি ভীষণ আনন্দিত। এমন একটা বাড়িতে থাকতে পেরে অতিথিরাও অনেক খুশি হবেন বলে আমি মনে করি।’

বাড়িটির আয়তন ১৯৩ বর্গফুট। এটি বানাতে দেড় টন চকলেট লেগেছে। কটেজটিতে একসঙ্গে চারজন থাকতে পারবেন। আর এর জন্য দিনপ্রতি খরচ হবে ৬০ ডলার। চকলেটের বাড়িতে এক রাত কাটানোর সুযোগ পেতে অনলাইনে বুকিং দেওয়ার হিড়িক পড়ে গেছে।