সু চির পদক্ষেপ দুঃখজনক: নোবেল ফাউন্ডেশনের প্রধান

অং সান সু চি। ছবি: রয়টার্স
অং সান সু চি। ছবি: রয়টার্স

নোবেল ফাউন্ডেশনের প্রধান লার্স হেইকেনস্টেন বলেছেন, মিয়ানমারের বেসামরিক নেতা হিসেবে অং সান সু চির কিছু পদক্ষেপ ‘দুঃখজনক’। তবে তাঁর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়া হবে না। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকার তিনি এ কথা বলেন।

আগামী শুক্রবার এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার কথা রয়েছে। এর এক সপ্তাহ আগে গত শুক্রবার লার্স হেইকেনস্টেন বলেন, পদক দেওয়ার পর কোনো ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কোনো মানে নেই।

মিয়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার অনুসন্ধান করে গত মাসে জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তারা একটি প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে ‘গণহত্যার উদ্দেশ্যে’ রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যার জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করা হয়। সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ের জন্য ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় এই নিপীড়নের ঘটনা ঘটল। ওই প্রতিবেদনে বেসামরিক লোকদের রক্ষায় ‘নৈতিক দায়িত্ব’ পালনে সু চি ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

নোবেল ফাউন্ডেশনের প্রধান লার্স হেইকেনস্টেন। ছবি: রয়টার্স
নোবেল ফাউন্ডেশনের প্রধান লার্স হেইকেনস্টেন। ছবি: রয়টার্স

মিয়ানমার বেসামরিক সরকার ব্যবস্থায় ফিরলে ২০১৫ সালে নির্বাচনে জিতে সু চি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর হন।
বড় ধরনের কোনো অপরাধের কথা স্বীকার না করলেও সু চি গত মাসে এক অনুষ্ঠানে বলেন, রাখাইনের পরিস্থিতি হয়ত আরও ভালোভাবে সামলানো যেত।

নোবেল ফাউন্ডেশনের প্রধান বলেন, ‘মিয়ানমারে তাঁকে (সু চি) আমরা যা করতে দেখছি, তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। আমরা মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছি, যেটি আমাদের মূল মূল্যবোধের একটি। সুতরাং বলা যায়, এ জন্য তিনি দায়ী। এটা খুবই দুঃখজনক।’ তথ্যসূত্র: রয়টার্স।