মিয়ানমারের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে ইইউ

কক্সবাজারে প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড হাতে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। ছবি: রয়টার্স
কক্সবাজারে প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড হাতে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। ছবি: রয়টার্স

রোহিঙ্গা নিপীড়নের জেরে মিয়ানমারের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গতকাল বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

মিয়ানমারের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য ব্লক ইউরোপে দেশটির শুল্কমুক্ত বাণিজ্যসুবিধা তুলে নেওয়া হতে পারে।

ইইউয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ইউরোপীয় কমিশনে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। মিয়ানমারের লাভজনক বস্ত্রশিল্পও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারে। এতে খাতটির হাজারো শ্রমিকের চাকরি ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।

খুব শিগগির মিয়ানমারের ওপর ইইউয়ের এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে না। ইইউ মিয়ানমারকে চাপ দিয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে নৃতাত্ত্বিক নিধনযজ্ঞ বন্ধ করতে চায়।

মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে কি না, এ ব্যাপারে ইইউ ছয় মাসের একটি মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চালু করতে পারে। মিয়ানমার যদি মানবিক ও গণতান্ত্রিক লক্ষ্যগুলো পূরণ করে, তাহলে ইইউয়ের সিদ্ধান্তে বদল আসতে পারে।

গত আগস্টে রোহিঙ্গা নিপীড়ন নিয়ে জাতিসংঘের সত্যানুসন্ধান মিশনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে জানানো হয়, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের উদ্দেশ্যই ছিল গণহত্যা। এ জন্য মিয়ানমারের সেনারা সেখানে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা ও ধর্ষণ করেছে। ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। রাখাইনে মানবতাবিরোধী এসব অপরাধের অভিযোগে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংসহ ছয় জেনারেলের বিচারের সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ।

গত মাসে নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) জানান, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার তাঁদের আছে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তও শুরু করেছেন আইসিসি।

সম্প্রতি মিয়ানমারের দুটি সামরিক ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।