শাহবাজ শরিফ ১০ দিনের রিমান্ডে

শাহবাজ শরিফ
শাহবাজ শরিফ

পাকিস্তানের পার্লামেন্টের প্রধান বিরোধী দলের নেতা শাহবাজ শরিফকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। লাহোরে দেশটির অ্যাকাউন্টিবিলিটি আদালত আজ শনিবার শাহবাজকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন। ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) পক্ষ থেকে ওই রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজকে গতকাল শুক্রবার লাহোরে এনএবি কার্যালয়ে গ্রেপ্তার করা হয় । এর আগে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করা হয়েছিল। আহসানিয়া হাউজিং দুর্নীতির মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শাহবাজ পাঞ্জাব প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রধান বিরোধী দল পিএমএল-এনেরও প্রধান।

ডন অনলাইনের খবরে বলা হয়, শাহবাজকে আজ আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন এনএবির কর্মকর্তারা। শুনানি শেষে আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আগামী ১৬ নভেম্বর তাঁকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সার্বিক বিষয় বিবেচনায় শাহবাজের বিরুদ্ধে রিমান্ডের শুনানি বিচারকের খাসকামরায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শাহবাজের আইনজীবীদের প্রতিবাদের মুখে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আদালত কক্ষেই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির একপর্যায়ে শাহবাজ বলেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, অনেকের আত্মসাৎ করা লাখ লাখ রুপি উদ্ধার করে তিনি উদ্ধার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করেছেন।

শুনানির সময় শাহবাজের ছেলে হামজা শরিফসহ তাঁদের দলের মাত্র তিনজন নেতা আদালত কক্ষে ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। নওয়াজ শরিফ আদালত চত্বরে গেলেও তাঁকে আদালত কক্ষে দেখা যায়নি।

শাহবাজকে আদালতে হাজির করার আগেই তাঁর দল পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা ওই এলাকায় ভিড় জমান। তাঁরা শাহবাজের পক্ষে নানা স্লোগান দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় আগে থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়।

এর আগে দুর্নীতির মামলায় শাহবাজের বড় ভাই নওয়াজ শরিফের ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন দেশটির অ্যাকাউন্টিবিলিটি আদালত। একই সঙ্গে নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে সাত বছর ও জামাতা সফদারকে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। গ্রেপ্তার হয়ে কিছুদিন কারাগারে থাকার পর হাইকোর্টের আদেশে তাঁরা আপাতত জামিনে আছেন।