ট্রাম্পকে ভালোবাসেন সৌদি যুবরাজ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে চার দিন পর মুখ খুলল সৌদি আরব। ট্রাম্পের মন্তব্যের বিপরীতে সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধু হিসেবে সম্বোধন করেছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘বন্ধুরাষ্ট্র ভালো-মন্দ যেকোনো কিছুই বলতে পারে।’

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গকে সালমান আরও বলেছেন, ‘তিনি যা-ই বলুন, আমি ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসি।’ যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করে মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে তাঁদের বেশ কিছু অর্জন আছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপিতে নির্বাচনী প্রচারণার শোভাযাত্রায় গত বুধবার ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক সহায়তা তুলে নিলে সৌদি প্রশাসন দুই সপ্তাহ টিকবে না। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সৌদিকে রক্ষা করছি। আপনারা কী বলবেন, সৌদি ধনী? আমি সালমানকে ভালোবাসি। কিন্তু আমি সৌদির বাদশাকে বলছি, আমরা আপনাকে সুরক্ষা দিচ্ছি। আমরা ছাড়া আপনি দুই সপ্তাহ টিকবেন না।’

সৌদি সাংবাদিক নিখোঁজ প্রসঙ্গ
সৌদি আরবের স্বনামধন্য সাংবাদিক জামাল খাসগি নিখোঁজের ঘটনায় তুরস্কে নিজেদের কনস্যুলেটে তল্লাশির অনুমতি দেবে সৌদি আরব। গত শুক্রবার প্রকাশিত ব্লুমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এ কথা বলেন।

গত মঙ্গলবার তুরস্কে অবস্থিত সৌদি আরবের কনস্যুলেটে যান জামাল। এরপর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ নেই। এ ঘটনায় তুরস্ক ও সৌদি আরব পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সৌদির কনস্যুলেটে তল্লাশির প্রসঙ্গটি এসেছে।

সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘কনস্যুলেট প্রাঙ্গণ সার্বভৌম এলাকা। তবে আমরা তাঁদের (তুরস্কের তদন্ত কর্মকর্তাদের) সেখানে প্রবেশ করতে দেব। তল্লাশিসহ তাঁরা যা করতে চান, তা করার অনুমোদন দেওয়া হবে। আমাদের লুকানোর কিছু নেই।’ তিনি দাবি করেন, কনস্যুলেটে প্রবেশের অল্প সময় পরই ওই ভবন ছেড়ে চলে যান জামাল খাসগি। এ সময় যুবরাজকে জিজ্ঞেস করা হয়, জামালকে আটক করে সৌদি আরবে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে না তো? এর জবাবে যুবরাজ বলেন, ‘আগে তাঁকে খুঁজে বের করাটা জরুরি।’