ড্রোন পাঠিয়ে উদ্ধার ধর্ষণের শিকার কিশোরী, অভিযুক্ত আটক

জরুরি সহায়তার জন্য পুলিশের কাছে ফোন করে এক কিশোরী। সে জানায়, কিছুক্ষণ আগেই এক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেছে। অভিযোগ শুনেই ছুটল পুলিশ। ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ধরে ফেলল অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। তবে এ ক্ষেত্রে পুলিশ কারও গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়নি। ড্রোনের সাহায্যে ওই কিশোরীকে খুঁজে বের করে পুলিশ। শনিবার যুক্তরাজ্যের বোস্টনে এ ঘটনা ঘটেছে।

বিবিসি ও ইনডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার সকালে জরুরি সহায়তার জন্য পুলিশের ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে এক কিশোরী। ফোনে সে জানায়, বোস্টনের লিঙ্কনশায়ারের এক অচেনা জায়গায় এক ব্যক্তির সঙ্গে আছেন তিনি। ওই ব্যক্তি কিছুক্ষণ আগেই তাকে ধর্ষণ করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ একটি ড্রোনের সাহায্যে ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে। ধর্ষণকারী সন্দেহে ৩০ বছরের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কিশোরীর দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে পুলিশ ধারণা করে, সেটি একটি কারখানা এলাকা হবে। এরপর পুলিশ থার্মাল ক্যামেরা (যে ক্যামেরা তাপ শনাক্ত করতে পারে) বসানো একটি ড্রোন পাঠিয়ে তাদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করে। পরে তাদের দেখতে পেয়ে সেখানে অভিযান চালায়।

লিঙ্কনশায়ার পুলিশের কর্মকর্তা এড ডেলডারফিল্ড জানান, পুলিশ কর্মকর্তাদের গাড়িতেই তাপ শনাক্তকারী ক্যামেরা বসানো ওই ড্রোনটি ছিল। সেটি আকাশে ওঠার পর দুজন মানুষের তাপমাত্রার উৎস শনাক্ত করে। সড়কের কাছে ওই মেয়েটি ও সন্দেহভাজন ধর্ষকের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ। এরপরই ড্রোনের সাহায্য নিয়ে ওই নারীকে উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ।