হ্যালির স্থলাভিষিক্ত কি ইভানকা?

ইভানকা
ইভানকা

জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি মঙ্গলবার আকস্মিক পদত্যাগের পর দেশটির রাজনীতি এখন বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে হ্যালি কেন পদত্যাগ করলেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। পাশাপাশি হ্যালির স্থলাভিষিক্ত কে হচ্ছেন, সে আলোচনাও বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে।

এরই মধ্যে চাউর হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প ও সাবেক কাউন্সেলর দিনা পাওয়েলের নাম। তবে জার্মানিতে নিযুক্ত বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিক গ্রিনেলের কথাও শোনা যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিকদের ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, হ্যালির স্থলাভিষিক্তের সংক্ষিপ্ত তালিকায় পাঁচজনের নাম আছে। তবে সেই তালিকায় গ্রিনেল নেই। ট্রাম্প বলেন, ‘বর্তমান অবস্থানে সে (গ্রিনেল) ভালো করছে, যা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ফলে তাকে সেখান থেকে সরানো হবে না। সে যেখানে আছে সেখানেই থাকবে।’

প্রেসিডেন্টের শীর্ষ তালিকায় যে নামটি সবচেয়ে কাছের, সেটা হলো ইভানকা ট্রাম্প। অনেক পার্লামেন্ট সদস্যের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সেই সঙ্গে নারীদের বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে কাজ করছেন ইভানকা। ফলে ট্রাম্প প্রশাসনের হর্তাকর্তারা হ্যালির স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ইভানকার সম্ভাবনা দেখছেন।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে পারিবারিক আলোচনায় হ্যালির স্থলাভিষিক্ত হিসেবে নিজের নাম শুনে বেশ হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন ইভানকা। পরে অবশ্য ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাঁরা মেয়েকে নিয়োগ করা হবে ‘অবিশ্বাস্য’। হ্যালির উত্তরসূরি হিসেবে যদি ইভানকে নিয়োগ করা হয়, তবে তিনি ‘স্বজনপ্রীতিতে অভিযুক্ত’ হবেন।

মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ওই পদের জন্য আমি অনেকগুলো নাম শুনেছি। ইভানকার নামও শুনেছি। ইভানকা হলে কীভাবে ভালো হবে? আমি মনে করি ইভানকা হলে অবিশ্বাস্য হবে, তার মানে এই নয় ওই পদের জন্য আমি ইভানকাকেই বেছে নিচ্ছি।’ তবে ট্রাম্প এটাও বলেন, জাতিসংঘের দূত হিসবে তাঁর মেয়ে ‘ডাইনামিক’ হবেন বটে।

ট্রাম্পের এমন মন্তব্যে সহজেই অনুমান করা যায় তিনি মনেপ্রাণেই চাইছেন তাঁর মেয়েই হোন ওই পদের কান্ডারি। কিন্তু ‘স্বজনপ্রীতির অভিযোগ’ ওঠার আশঙ্কায় এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট। ফলে এমন পরিস্থিতি স্বভাবতই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে হ্যালির স্থলাভিষিক্ত কি তবে ইভানকাই হচ্ছেন?

বিশ্বকাঠামোতে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করার সময় নিকি হ্যালির কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। হ্যালির সঙ্গে কথোপকথনে ট্রাম্প বলেন, ‘জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত পদটি কয়েক বছর আগের চেয়ে এখন সম্ভবত বেশি আকর্ষণীয় হয়েছে। সে (হ্যালি) এটাকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে।’