মধুচন্দ্রিমায় মাতাল হয়ে হোটেল কিনলেন তাঁরা!

বিয়ের পরই মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন জিনা লায়নস ও মার্ক লি দম্পতি। মধুচন্দ্রিমা কাটাতে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে এই হোটেলটি কেনেন তাঁরা। ছবিটি ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া
বিয়ের পরই মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন জিনা লায়নস ও মার্ক লি দম্পতি। মধুচন্দ্রিমা কাটাতে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে এই হোটেলটি কেনেন তাঁরা। ছবিটি ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

বিয়ের পরই মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন জিনা লায়নস ও মার্ক লি দম্পতি। মধুচন্দ্রিমা কাটাতে তাঁরা গিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কায়, উঠেছিলেন এক হোটেলে। রাতে সমুদ্রসৈকতে বসে দুজনে একটু বেশিই পান করেছিলেন। আর তাতেই ঝামেলা বেধে গেল। আবেগে এই দম্পতি জানিয়ে দিলেন, পুরো হোটেলটাই কিনে ফেলবেন তাঁরা! কথামতো কাজও হলো। এবার অর্থের টানাটানিতে পড়েছেন জিনা ও মার্ক।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের নাগরিক জিনা লায়নস ও মার্ক লি। থাকেন তাঁরা লন্ডনে। গত বছরের জুনে তাঁরা বিয়ে করেন। মধুচন্দ্রিমা কাটাতে শ্রীলঙ্কা গিয়ে এমন কাজ করে বসেন তাঁরা। শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার পর প্রথমেই সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি একটি হোটেলে ওঠেন তাঁরা। সেই দিন রাতে বেশ মদ পান করেছিলেন জিনা ও মার্ক। ১২ গ্লাস রাম খাওয়ার পর তাঁদের মনে হয় যে, যে হোটেলে থাকছেন, সেটি কিনে ফেললে দারুণ হবে!

ভাবামাত্রই শুরু হয়ে গেল কাজ। মাতাল অবস্থাতেই খোঁজ নিতে শুরু করে এই দম্পতি। জানা যায়, খুব দ্রুতই এই হোটেলের ইজারার মেয়াদ ফুরোবে। নতুন করে ইজারা নিতে গেলে দিতে হবে ৩০ হাজার পাউন্ড। তখনই হোটেলটি কিনে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।

জিনা বলেন, ‘আমরা সৈকতে বসে যখন রাম পান করছিলাম, তখন আমরা জানতে পারি শিগগিরই হোটেলটির জমির ইজারার মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে। প্রতিবছরের ইজারার জন্য দিতে হবে ১০ হাজার পাউন্ড। আমরা এতই মাতাল ছিলাম যে, ঠিক করে ফেলি হোটেলটি কিনে নেব।’ ওই অবস্থাতেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে যায় বলে জানান জিনা।

পরের দিন লেনদেন নিয়ে কথা বলতে যান মার্ক-জিনা। সেখানে গিয়ে আবার রাম পান করতে থাকেন তাঁরা। মাতাল হন আবারও। দরকষাকষির পর তিন বছরের জন্য ৩০ হাজার পাউন্ড দেওয়ার চুক্তি হয়, এককালীন অর্থ পরিশোধও করা হয়ে যায়।

চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হোটেলের মালিকানা বুঝে পেয়েছেন মার্ক ও জিনা। শুরুতে গ্রাহক মিলছে ভালোই। জিনা জানান, এমন ঘটনায় আত্মীয়স্বজন তাঁদের ‘আহাম্মক’ বলে অভিহিত করছে।

এ ঘটনায় মার্ক-জিনা দম্পতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। আপাতত তাঁরা ঠিক করেছেন, হোটেলের ইজারার মেয়াদ বাড়ানোর আলোচনায় অবশ্যই সুস্থ ও ঠান্ডা মাথায় অংশ নিতে হবে।