খাসোগি নিখোঁজের ঘটনায় উদ্বিগ্ন সৌদি রাষ্ট্রদূত

সাংবাদিক জামাল খাসোগি।
সাংবাদিক জামাল খাসোগি।

সাংবাদিক জামাল খাসোগির নিখোঁজের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যে নিয়োজিত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত। প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নাওয়াফ আল সৌদ বিবিসির কাছে তাঁর এই উদ্বেগের কথা জানান।

তবে যুক্তরাজ্যে নিয়োজিত সৌদি আরবের এই রাষ্ট্রদূত বলেন, খাসোগির নিখোঁজের ঘটনা নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করা যথাযথ হবে না।

খাসোগি ২ অক্টোবর তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন। তিনি সৌদির বাদশা সালমান ও ক্রাউন প্রিন্সের সবচেয়ে বড় সমালোচক ছিলেন। খাসোগি ওয়াশিংটন পোস্ট-এ নিয়মিত লেখালেখি করতেন।

যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ী স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন বলেছেন, খাসোগির নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সৌদি আরবে বিনিয়োগ স্থগিত করেছেন তিনি।

খাসোগিকে অপহরণ বা হত্যা করা হয়েছে বলে আশঙ্কা তাঁর বাগদত্তার।

তুরস্কের কর্তৃপক্ষ মনে করছে, খাসোগিকে সৌদি আরবের এজেন্টরা হত্যা করেছে।

খাসোগিকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে সৌদি আরব। রিয়াদের দাবি, তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের কিছু পরেই খাসোগি বেরিয়ে গেছেন। রিয়াদের এই দাবির সপক্ষে প্রমাণ চেয়েছে তুরস্ক।

যুক্তরাজ্যে নিয়োজিত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত প্রিন্স মোহাম্মদ বলেন, ‘খাসোগি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্তের চূড়ান্ত ফল না দেখেই এ বিষয়ে আমার মন্তব্য করা যথার্থ হবে না।’

খাসোগির সঙ্গে ঠিক কী হয়েছে, এর উত্তর শিগগিরই তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে বলে আশা রাষ্ট্রদূত প্রিন্স মোহাম্মদের।

খাসোগির নিখোঁজের বিষয়ে সৌদি আরবের কাছে জবাব চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে চেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে এই ঘটনাকে ‘খুব ভয়ংকর অবস্থা’ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।

তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রাথমিক অনুসন্ধানের বরাত দিয়ে তুরস্কের সরকারপন্থী একটি দৈনিকের খবরে বলা হয়েছে, খাসোগি নিখোঁজের ঘটনায় সৌদি আরবের ১৫ জন গোয়েন্দা জড়িত।