পর্নো তারকার মানহানি মামলা জিতলেন ট্রাম্প

পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের করা মানহানির মামলায় জিতে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের করা মানহানির মামলায় জিতে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর বিরুদ্ধে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের করা মানহানির মামলায় জিতেছেন। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ডিস্ট্রিক্ট জজ এস জেমস ওটেরো মামলাটি খারিজ করে দেন।

এই মামলায় ট্রাম্পের আইনজীবী নিয়োগের ফি-ও পরিশোধের জন্য স্টর্মিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ আদেশের বিরুদ্ধে স্টর্মি আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।

২০০৬ সালে একটি হোটেলের কক্ষে ট্রাম্পের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান বলে দাবি করেন স্টর্মি। তার আসল নাম স্টেফানি ক্লিফোর্ড। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মুখ বন্ধ করার জন্য ক্লিফোর্ডকে মোটা অঙ্কের অর্থ দেন ট্রাম্প। এ অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার। শুরু থেকেই এ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প। স্টর্মির দাবি, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ২০১১ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাঁকে এ বিষয়ে ‘চুপ থাকতে’ বলেছিলেন। চুপ না থাকলে ‘খারাপ কিছুর মুখোমুখি হতে হবে’ বলে হুমকিও দিয়েছিলেন। পরে হুমকিদাতা অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির মুখাবয়বের স্কেচ প্রকাশ করেন স্টর্মি, যার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টুইটারে ট্রাম্প লেখেন, ‘অস্তিত্বই নেই, এমন একজনের স্কেচ এত বছর পর আঁকা। পুরোপুরি প্রতারণা, বোকাদের জন্য ভুয়া সংবাদমাধ্যমকে নিয়ে খেলা (যদিও তারা তা জানে)!’ ট্রাম্পের ওই মন্তব্যে মানহানি হয়েছে দাবি করে এর বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন ওই পর্নো তারকা।

বিচারক ওটেরো বলেন, ‘ট্রাম্পের ওই টুইট বাক্স্বাধীনতারই একটি অংশ, যেটা তাঁকে সংবিধান দিয়েছে। মার্কিন রাজনীতি ও জনপরিসরে এ ধরনের পাল্টা কথা ছুড়ে দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। প্রথম সংশোধনী (সংবিধানের) এ ধরনের পাল্টা মন্তব্যকে সুরক্ষা দিয়ে আসছে।’

ট্রাম্পের আইনজীবী চার্লস হার্ডার বলেন, ট্রাম্পের আইনজীবীদের ফি বাবদ স্টর্মিকে কত পরিশোধ করতে হবে, তা পরে নির্ধারণ করা হবে।

স্টর্মির আইনজীবী মাইকেল অ্যাভেনাত্তি বলেছেন, তাঁর মক্কেল স্টর্মি ড্যানিয়েলস এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

ট্রাম্প ও তাঁর সাবেক ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেনের বিরুদ্ধে স্টর্মির করা আরেকটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় স্টর্মি অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে চুপ থাকতে কোহেন তাঁকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন।

টুইটারে আভেনাত্তি বলেন, মানহানির মামলা খারিজ হলেও ট্রাম্প ও কোহেনের বিরুদ্ধে স্টর্মির করা অন্য মামলায় কোনো প্রভাব পড়বে না।