এনআরসি চেয়ে ত্রিপুরার রাজপরিবারও সুপ্রিম কোর্টে

নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে এবার ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ত্রিপুরার রাজপরিবারের উত্তরসূরি প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মণ। সোমবার আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছে। দিল্লি থেকে প্রদ্যুত মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, কাউকে রাজ্য থেকে বহিষ্কারের তিনি পক্ষপাতী নন। তবে ত্রিপুরার ভারতভুক্তির জনবিন্যাসকে ভিত্তি করে সংসদীয় রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতেই তিনি মামলা করেছেন।

ত্রিপুরার শেষ মহারাজা কিরীট বিক্রম দেববর্মণের ছেলে প্রদ্যুতের দাবি, ১৯৫১ সালের আগে ত্রিপুরায় উপজাতিরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলেন। এখন সেই জনবিন্যাসে পরিবর্তন এলেও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ বাড়াতে হবে বলে রিট পিটিশনে তিনি দাবি করেন। তাঁর সাফ কথা রাজ্য বিধানসভার ৬০টি আসনের মধ্যে ৩০টি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত করতে হবে । প্রসঙ্গত, বর্তমানে ২০টি আসন উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। লোকসভার দুটি আসনের মধ্যে একটি বর্তমানে সংরক্ষিত। এ ক্ষেত্রে অবশ্য পরিবর্তন চান না তিনি। প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যুত আরও জানিয়েছেন, এনআরসি চাইলেও তিনি বাঙালি খেদাও-এর বিরোধী। এমনকি, পাতলা কন্যা জামাতিয়ার করা অপর একটি রিট পিটিশনেরও তিনি বিরোধিতা করেন।

উল্লেখ্য, ত্রিপুরা পিপলস ফ্রন্টের ব্যানারে করা অপর রিট পিটিশনে বাংলাদেশিদের শনাক্ত করে বিতাড়নের কথা বলা হয়েছে। তবে দুটি মামলাকেই গুরুত্ব দিতে নারাজ ত্রিপুরা সরকার। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল অরুনকান্তি ভৌমিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ত্রিপুরায় এনআরসি অপ্রাসঙ্গিক। তাই এই সব মামলাকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে লাভ নেই।’ আগের মামলার নোটিশও রাজ্য সরকার এখনো পায়নি বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে অ্যাডভোকেট জেনারেলের দাবি, দুটি মামলাই ভারতীয় সংবিধান বিরোধী।