আসামে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে হরতাল

‘আমরা নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের বিরোধিতা করি’—লেখাসংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ। ছবি: ইনসাইড ইনইয়ের সৌজন্যে
‘আমরা নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের বিরোধিতা করি’—লেখাসংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ। ছবি: ইনসাইড ইনইয়ের সৌজন্যে

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের ডাকে ভারতের আসাম রাজ্যে পালিত হচ্ছে ১২ ঘণ্টার হরতাল। রাজধানী গুয়াহাটিসহ গোটা রাজ্যে হরতালের প্রভাব পড়েছে। হরতাল–সমর্থকেরা বিভিন্ন জায়গায় পিকেটিং করছেন। হরতালকে বেআইনি ঘোষণা করা হলেও তা চলছে পুরোদমে।

আজ মঙ্গলবার দিল্লিতে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল, ২০১৬-এর বিষয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) সদস্যরা ভারতীয় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য শুনবেন। বিলটির প্রতিবাদে আসামে হরতালের ডাক দিয়েছে প্রায় ৬০টি অসমীয়া সংগঠন। কংগ্রেসও হরতালকে সমর্থন করেছে।

ভারতীয় লোকসভার বিবেচনাধীন বিলটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সালের আগে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ,জৈন ও খ্রিষ্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এটারই বিরোধিতা শুরু হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে।

হরতাল–সমর্থকদের দাবি, জাতপাতের ভিত্তিতে নয়, ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি মেনে ১৯৭১-এর ২৪ মার্চকেই ভিত্তি বছর ধরতে হবে। কৃষক মুক্তি সংগ্রাম কমিটি (কেএমএসএস), অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র সমিতি (এজেওয়াইসিপি), সারা অসম ছাত্র সংস্থাসহ (আটাসু) রাজ্যের প্রায় ৬০টি সংগঠন এই দাবিতে একজোট।

আসামের গুয়াহাটিতে বিক্ষোভ চলছে। ছবি: ইনসাইড ইনইয়ের সৌজন্যে
আসামের গুয়াহাটিতে বিক্ষোভ চলছে। ছবি: ইনসাইড ইনইয়ের সৌজন্যে

হরতালকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা থাকলেও বড় ধরনের কোনো গোলমালের খবর নেই। সর্বত্রই ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার।

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হরতাল–সমর্থকেরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান।

গুয়াহাটি থেকে সংবাদ সংস্থা ইনসাইড এনইর প্রধান সম্পাদক আফ্রিদা হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘হরতাল চলছে। স্বাভাবিক জনজীবন প্রায় বিপর্যস্তই বলা চলে। দোকানপাট, অফিস–কাছারি সব বন্ধ। রাস্তায় যান চলাচলও করছে খুবই কম।’

গতকাল সোমবার আসামের অর্থমন্ত্রী হীমন্ত বিশ্বশর্মা গুয়াহাটি উচ্চ আদালতের নির্দেশ স্মরণ করিয়ে দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এই হরতালকে বেআইনি বলে দাবি করেন। হরতাল–সমর্থকদের তাঁদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধও করেন তিনি। কিন্তু সেই অনুরোধে কোনো কাজ হয়নি।