বন্দুকের জবাবে বই

ব্রাজিলে বই হাতে ভোটকেন্দ্রে এক ভোটার। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
ব্রাজিলে বই হাতে ভোটকেন্দ্রে এক ভোটার। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

ব্রাজিলে গত রোববার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজয়ী কট্টর ডানপন্থী জাইর বলসোনারোর বিরোধীরা বই হাতে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। প্রথম দফার ভোটে বলসোনারোর সমর্থকেরা ভোট দিয়ে বন্দুক হাতে ক্যামেরাবন্দী হয়েছিলেন। বলা হচ্ছে, বন্দুক হাতে ছবি তোলার জবাবেই বিরোধীরা বই হাতে ভোট দিতে গিয়েছিলেন।

বন্দুকের জবাবে বই নিয়ে ভোট দিতে যাওয়ার ঘটনাটি ব্রাজিলে বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার, ফেসবুকেও একপ্রকার ঝড়ই বইছে এ নিয়ে।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ হয় ৭ অক্টোবর। এরপর রোববার হয় দ্বিতীয় দফার ভোট। এতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জাইর বলসোনারোর বিজয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে। তাঁকে অনেকেই ‘গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ট্রাম্প’ বলে অভিহিত করেছেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় বলসোনারো ঘোষণা দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি ব্রাজিলের আগ্নেয়াস্ত্র আইন শিথিল করবেন। ‘ভালো মানুষেরা’ নিজের হাতেই যাতে বিচার করতে পারেন, সে সুযোগ করে দিতে তিনি এই পদক্ষেপ নেবেন বলে দাবি করেছিলেন।

রোববার এলিয়ান ব্রাম নামে এক ভোটার পর্তুগিজ ভাষার লেখক ভালতের হুগোর লেখা ডিহিউম্যানাইজেশন বইটি নিয়ে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। বই হাতে নিজের একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি। আরেক ভোটার টুইটারে ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘আমি দুটো বই নিয়ে গিয়েছিলাম।’ তাঁর হাতে ছিল ব্রাজিলের শিক্ষাবিদ পাউলো ফ্রেইরের বই দ্য ইম্পরট্যান্স অব দ্য অ্যাক্ট রিডিং এবং নোবেল বিজয়ী পর্তুগিজ লেখক হোসে সারামাগোর একটি বই।