বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর

১ / ৭
ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর তৈরিতে প্রথম ধাপে খরচ হয়েছে ৫১০ কোটি ডলারের বেশি। ছবি: এএফপি
ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর তৈরিতে প্রথম ধাপে খরচ হয়েছে ৫১০ কোটি ডলারের বেশি। ছবি: এএফপি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও ব্যস্ত বিমানবন্দরের উদ্বোধন হয়ে গেল তুরস্কে। দেশটির জনবহুল শহর ইস্তাম্বুলের নামে এ বিমানবন্দরের নাম হবে ‘ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর’। সোমবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এই বিমানবন্দর উদ্বোধন করেন৷ এদিন দেশটির ৯৫তম স্বাধীনতা দিবস। কয়েক মাসের মধ্যেই ইস্তাম্বুলের প্রধান বিমানবন্দর আতাতুর্কের পরিবর্তে এই বিমানবন্দর দিয়েই যাত্রীরা বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে।

২ / ৭
৭ হাজার ৬০০ হেক্টর আয়তনের এই বিমানবন্দরই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর। ছবি: এএফপি
৭ হাজার ৬০০ হেক্টর আয়তনের এই বিমানবন্দরই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর। ছবি: এএফপি

তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরকেই ট্রানজিট বিমানবন্দর হিসেবে অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন৷ এই বিমানবন্দরে যাত্রীর সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন৷ ইস্তাম্বুলের এই বিশাল নতুন বিমানবন্দর তৈরি করতে প্রথম ধাপে খরচ হয়েছে ৫১০ কোটি ডলারের বেশি৷ ৭ হাজার ৬০০ হেক্টর আয়তনের এই বিমানবন্দরই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর৷

৩ / ৭
এ বিমানবন্দরের নকশা পুরস্কারও জিতেছে। ২০১৬ সালে বার্লিনে ওয়ার্ল্ড আর্কিটেকচারাল ফেস্টিভ্যালে ‘ফিউচার প্রজেক্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর।
এ বিমানবন্দরের নকশা পুরস্কারও জিতেছে। ২০১৬ সালে বার্লিনে ওয়ার্ল্ড আর্কিটেকচারাল ফেস্টিভ্যালে ‘ফিউচার প্রজেক্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর।

আপাতত দুটি রানওয়ে ও একটি টার্মিনাল চালু হয়েছে। এ সুযোগ–সুবিধা দিয়ে বছরে ৯ কোটি যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। এর সঙ্গে একটি প্রধান এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার, একটি কার্গো হাউসও চালু হয়েছে। চালু হওয়া দুই রানওয়ের একটি ৪ দশমিক ১ কিলোমিটার এবং অপরটি ৩ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার লম্বা। এ বিমানবন্দরে আপাতত ৩৪৭টি বিমান অবস্থান করতে পারবে। ২০২৩ সাল নাগাদ এ বিমানবন্দরের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হবে। তত দিনে এই বিমানবন্দরে যুক্ত হবে আরও ৬টি রানওয়ে। ৫০০টি বিমান তখন একসঙ্গে এ বিমানবন্দরে অবস্থান করতে পারবে এবং বছরে ২০ কোটি যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে। একই সঙ্গে তখন এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় করমুক্ত শপিং কমপ্লেক্সেও পরিণত হবে, যার আয়তন হবে ৫৩ হাজার বর্গমিটার।

৪ / ৭
ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরের রানওয়ে। ছবি: এএফপি
ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরের রানওয়ে। ছবি: এএফপি

এ বিমানবন্দর পুরোদমে চালু হয়ে গেলে কামাল আতাতুর্ক বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।

ইস্তাম্বুলের এই বিমানবন্দরকে তুরস্কের পক্ষ থেকে গ্রিন বা সবুজ বিমানবন্দর বলা হচ্ছে। এই বিমানবন্দরে বৃষ্টির পানি ব্যবহারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যদিও এ বিমানবন্দর বানাতে গিয়ে পরিবেশের ক্ষতি করতে হয়েছে। কারণ অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

৫ / ৭
আপাতত দুটি রানওয়ে ও একটি টার্মিনাল চালু হয়েছে। চালু হওয়া দুই রানওয়ের একটি ৪ দশমিক ১ কিলোমিটার এবং অপরটি ৩ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার লম্বা। ছবি: ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর
আপাতত দুটি রানওয়ে ও একটি টার্মিনাল চালু হয়েছে। চালু হওয়া দুই রানওয়ের একটি ৪ দশমিক ১ কিলোমিটার এবং অপরটি ৩ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার লম্বা। ছবি: ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর


এই বিমানবন্দরের নকশা পুরস্কারও জিতেছে। ২০১৬ সালে বার্লিনে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড আর্কিটেকচারাল ফেস্টিভ্যালে ‘ফিউচার প্রজেক্টস ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর।

৬ / ৭
ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে আপাতত ৩৪৭টি বিমান অবস্থান করতে পারবে। ২০২৩ সাল নাগাদ এ বিমানবন্দরের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হবে। তত দিনে এই বিমানবন্দরে যুক্ত হবে আরও ৬টি রানওয়ে। ৫০০টি বিমান তখন একসঙ্গে এ বিমানবন্দরে অবস্থান করতে পারবে এবং বছরে ২০ কোটি যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে। ছবি: রয়টার্স
ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে আপাতত ৩৪৭টি বিমান অবস্থান করতে পারবে। ২০২৩ সাল নাগাদ এ বিমানবন্দরের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হবে। তত দিনে এই বিমানবন্দরে যুক্ত হবে আরও ৬টি রানওয়ে। ৫০০টি বিমান তখন একসঙ্গে এ বিমানবন্দরে অবস্থান করতে পারবে এবং বছরে ২০ কোটি যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে। ছবি: রয়টার্স

গত সোমবারই আঙ্কারার উদ্দেশে প্রথম ফ্লাইট উড়ে গেছে এ বিমানবন্দর থেকেই। ইন্টারন্যাশনাল রুটে প্রথম ফ্লাইট যায় ইস্তাম্বুল থেকে সাইপ্রাস পর্যন্ত৷ এ বছর মূলত আজারবাইজান এবং সাইপ্রাসে বিমান চলবে এ বিমানবন্দর থেকে। আগামী জানুয়ারিতে পুরোদমে চালু হবে এ বিমানবন্দর। তখন নতুন এ বিমানবন্দর থেকে ৩৫০টি গন্তব্যে বিমান যাতায়াত করতে পারবে৷

৭ / ৭
অনিন্দ্য সুন্দর এই বিমানবন্দরটিতে আছে সব ধরনের সুবিধা। ছবি: এএফপি
অনিন্দ্য সুন্দর এই বিমানবন্দরটিতে আছে সব ধরনের সুবিধা। ছবি: এএফপি

ইস্তাম্বুলে এ বিশাল বিমানবন্দর তৈরি করাটা যেমন তুরস্কের কাছে খুব গর্বের বিষয়৷ তেমনি বিমানবন্দরকে ঘিরে বেশ কিছু বিতর্কও রয়েছে৷ কারণ শ্রমিকেরা এখানে কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়েছেন বলে অভিযোগ৷ খারাপ মানের খাবারের পাশাপাশি আরও অনেক অত্যাচারও শ্রমিকদের সহ্য করতে হয়েছে বলে অভিযোগ৷ ২৭ শ্রমিকের মৃত্যুও হয়েছে এই বিমানবন্দর তৈরি করতে৷ যদিও তুরস্কের সরকার এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে৷ তথ্যসূত্র: ইকোনমিক টাইমস ও সিএনএন