স্নোডেন চাইলে মস্কো ছেড়ে যেতে পারেন: লাভরভ

রাশিয়া বলেছে, এডওয়ার্ড স্নোডেন চাইলে যেকোনো সময় মস্কো ছেড়ে চলে যেতে পারেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে স্নোডেনের ভ্রমণের অনুমতি-সংক্রান্ত নথিপত্র নিয়ে এখনো সংশয় রয়েছে। মার্কিন সরকারের নজরদারির তথ্য ফাঁস করে আলোড়ন তোলা স্নোডেন গত রোববার হংকং থেকে রাশিয়ার মস্কোর শেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দরে পৌঁছান। গতকাল পঞ্চম দিনের মতো সেখানেই অবস্থান করেন তিনি। প্রশাসনের নজরদারির খবর ফাঁস করায় মার্কিন সরকার এর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মী স্নোডেনের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও সরকারি তথ্য চুরির অভিযোগে মামলা করেছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ বলেন, ‘স্নোডেন রাশিয়ার আইন লঙ্ঘন করেননি। তিনি সীমানা অতিক্রমও করেননি। বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকায় অবস্থান করছেন। সেখান থেকে যেকোনো সময় তাঁর ইচ্ছামতো যেকোনো স্থানে চলে যেতে পারেন।’ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে তিনি বলেন, স্নোডেনকে অনাকাঙ্ক্ষিত আগন্তুক মনে করে রাশিয়া। তিনি যত দ্রুত রাশিয়া ত্যাগ করবেন, ততই মঙ্গল। মন্ত্রী লাভরভ এভাবে বললেও স্নোডেনের ভ্রমণের অনুমতি-সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে এখনো সংশয় রয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ইউনিভিশন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর স্নোডেনকে ভ্রমণের অনুমতি-সংক্রান্ত কাগজপত্র দিয়েছে, যা ‘সেফ পাস’ বলে পরিচিত। ‘সেফ পাসের’ একটি কপিও দেখিয়েছে ইউনিভিশন। তবে ইকুয়েডর স্নোডেনকে এ ধরনের কোনো কাগজপত্র দেওয়ার খবর অস্বীকার করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিকার্ডো পাতিনো বলেছেন, স্নোডেনের রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তাঁদের দুই মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এর আগে পাতিনোর বরাত দিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়, এই সিদ্ধান্ত নিতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। পাতিনো বলেন, বিষয়টি সাংবাদিকদের ভুল বোঝাবুঝি।

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র যোগাযোগ হচ্ছে: স্নোডেনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে যোগাযোগ চলছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কার্নি। তবে তিনি বলেন, ‘কী কথা হচ্ছে, তা বলার স্বাধীনতা আমার নেই।’ এএফপি, রয়টার্স।