মেঝেতে ঘুমিয়ে চাকরি গেল

স্পেনের বিমানবন্দরে নিজেদের অফিসের মেঝেতে ঘুমিয়ে আছেন রায়ানএয়ারের উড়োজাহাজের ছয়জন ক্রু। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
স্পেনের বিমানবন্দরে নিজেদের অফিসের মেঝেতে ঘুমিয়ে আছেন রায়ানএয়ারের উড়োজাহাজের ছয়জন ক্রু। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

বিমানবন্দরে অফিসের মেঝেতে ঘুমানোর দায়ে ছয় কর্মীকে বহিষ্কার করেছে ইউরোপের সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও আয়ারল্যান্ডভিত্তিক এয়ারলাইনস রায়ানএয়ার। আজ বুধবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্পেনের বিমানবন্দরে নিজেদের অফিসের মেঝেতে ঘুমিয়ে আছেন রায়ানএয়ারের উড়োজাহাজের ছয়জন ক্রু—এমন ছবি গত মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে খেপে যায় কর্তৃপক্ষ। এয়ারলাইনসের মুখপাত্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কর্মীদের বড় ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার কর্মীদের বরখাস্ত করার পর এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি ভাইরাল হওয়ায় কোম্পানির সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। এই ছয় ক্রুর বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনেছে তারা।

গত ১৪ অক্টোবর ফ্লাইট পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে স্পেনের মালাগা বিমানবন্দরে আটকা পড়েন এয়ারলাইনসটির ২০ জন ক্রু। রায়ানএয়ারের দাবি, ভিআইপি লাউঞ্জে পাঠানোর আগে এই কর্মীদের অল্প সময়ের জন্য অফিসে রাখা হয়। এইটুকু সময়ে কর্মীরা অন্তত মেঝেতে ঘুমাতে পারেন না বলে মনে করে তারা। পরদিনই পর্তুগালের পোর্তোর উদ্দেশে ফ্লাইট ছাড়ে।

পর্তুগিজ ইউনিয়ন এসএনপিভিএসি রায়ানএয়ারের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। ইউনিয়নটি এই এয়ারওয়েজের কেবিন ক্রু পরিচালনায় দায়িত্বে আছে। তারা বলছে, রাত দেড়টা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত কোনো ধরনের বিশ্রামের ব্যবস্থা রাখা হয়নি ক্রুদের জন্য। এ জন্য তাঁরা মেঝেতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। কেবিন ক্রুদের ভোর ছয়টায় ভিআইপি লাউঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষও।

ক্রুদের ঘুমানোর ছবি টুইটারে প্রথম প্রকাশ করেন জিম অ্যাটকিনসন নামের এক ব্যক্তি। ওই টুইটে তিনি কর্মীদের থাকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না করায় এয়ারলাইনসটির সমালোচনা করেন। এরপরই ছবিটি ভাইরাল হয়। বেশির ভাগ মানুষ এয়ারলাইনসের সমালোচনা করেন।