যৌন হয়রানি রোধে গুগলের কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ

কর্মস্থলে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে কাজ ছেড়ে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন গুগলের কর্মীরা।  ফাইল ছবি
কর্মস্থলে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে কাজ ছেড়ে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন গুগলের কর্মীরা। ফাইল ছবি

প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও যৌন সহিংসতার দাবির বিষয়টি জোরপূর্বক নিষ্পত্তিকে বিকল্প হিসেবে রাখাসহ এক বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল।

এর আগে ১ নভেম্বর কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সহকর্মীদের যৌন হয়রানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে এক অভূতপূর্ব প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন গুগলের কর্মীরা। সেদিন প্রতিষ্ঠানটির অনেক কর্মী কাজ ছেড়ে রাজপথে নেমে আসেন। এই প্রতিবাদে শামিল হন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, জাপান, চীন, সিঙ্গাপুরসহ বেশ কয়েকটি দেশে কর্মরত গুগলের কর্মীরা। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য, বর্ণবাদ ও অনিয়ন্ত্রিত নির্বাহী ক্ষমতারও প্রতিবাদ জানান তাঁরা।

এ ঘটনারই পরিপ্রেক্ষিতে গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই ওই কর্মপরিকল্পনার ঘোষণা দিলেন। গত বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, সহকর্মীদের পক্ষ থেকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠলে সেটি কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, সে বিষয়ে পরিবর্তন আনবে তারা। প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের উদ্দেশে এক বার্তায় সুন্দর পিচাই বলেন, ‘আমরা যৌন হয়রানি-সংক্রান্ত উদ্বেগ নিরসনে এর পন্থায় আরও স্বচ্ছতা আনার মধ্য দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাব।’

পিচাই আরও বলেন, যৌন হয়রানি বিষয়ে তদন্ত ও এর ফলাফল নিয়ে গুগল আরও বিস্তারিত প্রকাশ করবে। একই সঙ্গে এ-সংক্রান্ত উদ্বেগ নিরসনের প্রক্রিয়াকে উন্নত করবে। যৌন হয়রানির অভিযোগকারী কর্মী যাতে তাঁর পাশে একজন সহায়তাকারী পান, সে ব্যবস্থাও করা হবে।

গুগল বলেছে, তাদের কর্মীদের এখন থেকে প্রতি দুই বছরের পরিবর্তে প্রতিবছর যৌন হয়রানি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। সুন্দর পিচাই বলেন, ‘আমরা বাধ্যতামূলক এই প্রশিক্ষণকে হালনাগাদ ও বিস্তৃত করব।’

গুগল জানায়, তারা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ হয়রানি, বৈষম্য ও এর প্রতিবিধান নীতি জনসমক্ষে প্রকাশ করবে। চলতি মাসের শুরুর দিকে নিউইয়র্ক টাইমস–এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গুগলের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ডি রুবিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। গুগল তা চেপে যায়।