যৌন হেনস্তার অভিযোগ, আকবরের সমর্থনে নারী সাংবাদিক

এম জে আকবর
এম জে আকবর

যৌন হেনস্তার অভিযোগে পদত্যাগ করা সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাংবাদিক এম জে আকবরকে ‘অসামান্য শিক্ষিত ও আদ্যন্ত ভদ্রলোক’ বলে বর্ণনা করলেন ‘সানডে গার্ডিয়ান’ পত্রিকার সম্পাদক জয়িতা বসু। সোমবার দিল্লির পাটিয়ালা হাউস আদালতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সমর বিশালের এজলাসে আকবর সম্পর্কে এই মন্তব্য করেন তিনি। জয়িতা বসু বলেন, সাংবাদিক প্রিয়া রামানির তোলা প্রতিটি অভিযোগই আকবরের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে করা।

মোদি সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার প্রথম অভিযোগ এনেছিলেন সাংবাদিক প্রিয়া রামানি। এরপর দেশ-বিদেশের একাধিক নারী সাংবাদিক একই ধরনের অভিযোগ আনায় আকবর নিজ পদ থেকে সরে যান। প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে দিল্লির নিম্ন আদালতে তিনি মানহানির মামলা করেন। সেই মামলায় সোমবার প্রথম সাক্ষ্য দেন সাংবাদিক জয়িতা বসু। আদালতে তিনি বলেন, আকবরের সঙ্গে সাংবাদিক হিসেবে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতা দীর্ঘ ২০ বছরের। কখনো তাঁর কোনো সহকর্মীর কাছ থেকে আকবর সম্পর্কে খারাপ কোনো মন্তব্য তিনি শোনেননি। উনি শুধু দুর্দান্ত সাংবাদিকই নন, অত্যন্ত শিক্ষিত এক​ লেখক, আদ্যন্ত ভদ্রলোক এবং সম্মানীয় এক ব্যক্তিত্ব।

আকবর তাঁর বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ ‘বিদ্বেষপূর্ণ ও মনগড়া’ বলেছেন। যদিও মানহানি মামলার কথা শোনার পর প্রিয়া রামানি বলেছিলেন, ‘সত্য এবং পূর্ণ সত্যই আমার একমাত্র প্রতিরক্ষা।’

বিজেপির এই সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন অন্তত ১২ জন নারী সাংবাদিক, যাঁরা কোনো না কোনো সময় সাংবাদিক আকবরের সঙ্গে কাজ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র নিবাসী ভারতীয় সাংবাদিক পল্লবী গগৈ আকবরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও এনেছেন। যদিও আকবর বলেছেন, পল্লবীর সঙ্গে তাঁর একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। যা কিছু হয়েছে, তা সম্মতির ভিত্তিতেই।

আকবর মানহানির মামলা এনেছেন শুধু প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে, যিনি প্রথম অভিযোগকারী। এই মামলার পরবর্তী সাক্ষী হবিবুর রহমান। আদালত তাঁর প্রতি সমন জারি করেছেন আগামী ৭ ডিসেম্বর।