ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ

আবিগদো লিবারম্যান। ছবি: রয়টার্স
আবিগদো লিবারম্যান। ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবিগদো লিবারম্যান। আজ–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির বিষয়টি মেনে নেননি। তবে তাঁর এই পদত্যাগকে হামাস দেখছে তাদের রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে।

বুধবার লিবারম্যান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার থেকে পদত্যাগ করার এই ঘোষণা দেন। লিবারম্যানের ভাষ্য, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সমঝোতায় যাওয়ার মানে হলো ‘সন্ত্রাসের কাছে আত্মসমর্পণ করা’। গত সোমবার রাতে গাজা সীমান্তে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। তাতে সাত ফিলিস্তিনি নিহত হন। পরে মিসরের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে যায়। তবে লিবারম্যান এই যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে ছিলেন।

গত সপ্তাহে কাতার গাজায় দেড় কোটি ডলারের সাহায্য পাঠায়। এই সাহায্য কেন ইসরায়েল ঢুকতে দিল—এই মর্মে লিবারম্যান এর কড়া সমালোচনা করেন। তাঁর ভাষ্য, কাতারের এই সাহায্যই এখন গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, এই অর্থ সীমান্তে বসবাসরত সন্ত্রাসীদের পরিবারে গিয়েছে।

এদিকে লিবারম্যানের পদত্যাগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। পদত্যাগের এই বিষয়টিকে তারা রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখছে। হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহাইরি বলেন, ফিলিস্তিনিদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছে ইসরায়েল। গাজার এই দৃঢ়তা ইসরায়েলের প্রতি শক্ত বার্তা পাঠিয়েছে।

গত সোমবার রাতে গাজা সীমান্তে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সহিংসতায় সাতজন নিহত হন। ওই হামলায় ফিলিস্তিনিরা রকেট নিক্ষেপ করে। আর ইসরায়েল চালায় বিমান হামলা। মূলত গত রোববার ইসরায়েলের বিশেষ বাহিনী গাজার অভ্যন্তরে অভিযান চালালে ওই সহিংসতার সূত্রপাত্র হয়। বিবিসি বলছে, এই সহিংসতায় নিহত সাতজনের মধ্যে একজন হামাস কমান্ডার এবং ইসরায়েলি এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ছিলেন।

মিসর ও জাতিসংঘ গাজা সীমান্তে সাময়িক যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তবে সোমবারের ঘটনায় সেখানে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। গত মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত সেখানে সহিংসতায় দুই শরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।