ব্রেক্সিটের চূড়ান্ত খসড়ায় সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভা

মাইকেল বার্নিয়ার। ছবি: রয়টার্স
মাইকেল বার্নিয়ার। ছবি: রয়টার্স

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) বিষয়ে চূড়ান্ত খসড়া চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে থেরেসা মের মন্ত্রিসভা। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। এখন এই চুক্তি কার্যকরের জন্য সংসদের অনুমোদন প্রয়োজন।

ইইউয়ের ব্রেক্সিটবিষয়ক মুখ্য আলোচক মাইকেল বার্নিয়ার বলেছেন, ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের সরে যাওয়া নিয়ে চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে নিষ্পত্তিমূলক অগ্রগতি হয়েছে। বার্নিয়ার বলেন, ‘গতকাল বুধবার প্রকাশিত বিচ্ছেদ নিয়ে ৫৮৫ পৃষ্ঠার খসড়া চুক্তি এই আলোচনার অবসানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

এর আগে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, তাঁর মন্ত্রিসভা খসড়া চুক্তি সমর্থন করেছে। এরপরই বার্নিয়ারের এমন মন্তব্য এল।

দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে দফায় দফায় বৈঠক, পাল্টাপাল্টি বিবৃতি আর দর-কষাকষির পর যুক্তরাজ্য ও ইইউ ব্রেক্সিট নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছায়। তবে খসড়া চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ হওয়ার আগেই যুক্তরাজ্যে এ নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়। মতপার্থক্য নিরসন করে এই চুক্তি সম্পাদনে মন্ত্রিপরিষদ ও সংসদের অনুমোদন আদায় করাটাই থেরেসা মের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তবে আজ থেরেসা মে জানান, তাঁর মন্ত্রিসভা খসড়া চুক্তি সমর্থন করেছে। তবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলেও সংসদের অনুমোদন আদায়ের কঠিন চ্যালেঞ্জ এখনো থেরেসা মের সামনে রয়েছে।

খসড়ায় বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চে ইইউ ছাড়তে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য, তাই এই চুক্তিতে বিচ্ছেদের বিষয়গুলো যুক্ত করা হয়েছে। খসড়া যুক্তরাজ্যের পক্ষে আর্থিক নিষ্পত্তির কথাও বলা হয়েছে। এর পরিমাণ ৩৯ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া চুক্তিতে ব্রেক্সিটের পর ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ যুক্তরাজ্য যখন বেরিয়ে যাবে, তখন দেশটির নাগরিকদের অধিকার সম্পর্কে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ব্রাসেলসে এক সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরার সময় মাইকেল বার্নিয়ার জানান, এই চুক্তির অন্যতম উদ্বেগের বিষয় হলো আয়ারল্যান্ড সীমানা ইস্যু। আয়ারল্যান্ড সীমান্ত নিয়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায় আপাতত ইইউয়ের কাস্টমস ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত থাকবে যুক্তরাজ্য। এ জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আমদানি-রপ্তানিতে ইইউয়ের আইন মেনে চলবে যুক্তরাজ্য।

এই খসড়া চুক্তিতে ইইউয়ের সদস্যদেশগুলোর অনুমোদনের জন্য ২৮ নভেম্বর বিশেষ সম্মেলন আয়োজনের কথা রয়েছে। সেখানে অনুমোদন পেলে চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে উভয় পক্ষ।