কাশ্মীর নিয়ে আসলে কী বলেছেন আফ্রিদি?

কাশ্মীর পাকিস্তান থেকে আলাদা হোক, এমন কিছু বলেননি আফ্রিদি। ফাইল ছবি
কাশ্মীর পাকিস্তান থেকে আলাদা হোক, এমন কিছু বলেননি আফ্রিদি। ফাইল ছবি
কাশ্মীর পাকিস্তানের হোক, এটা চান না শহীদ আফ্রিদি? ভারতীয় সংবাদমাধ্যম তাঁর উদ্ধৃতি দিয়ে যে সংবাদটি প্রকাশ করেছে, সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। বলেছেন, তাঁর বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। পুরো ব্যাপারটি নিয়েই চলছে তোলপাড়


গতকাল বেশ বড় ধরনের ঝড় তুলেছিলেন শহীদ আফ্রিদি। সে এমনই ঝড় যে অনেক সংবাদমাধ্যমই এর সত্যতা নিয়ে রীতিমতো ভুগছিলেন। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক নাকি কাশ্মীরের স্বাধীনতা চেয়েছেন। কিন্তু সে খবরটা মিথ্যা বলেই জানা গেল। আজ জানা গেছে, কাশ্মীরের স্বাধীনতা চান তিনি তবে সে স্বাধীনতা পাকিস্তানের অংশ হয়ে!

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, এক ভিডিওতে আফ্রিদি বলেছেন পাকিস্তানও কাশ্মীরকে পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। দুই দেশের কারও কাশ্মীর পাওয়া উচিত নয়, ‘আমার মতে পাকিস্তান কাশ্মীর চায় না। ভারতকেও এটি দেবেন না। কাশ্মীরকে স্বাধীন হতে দিন। অন্তত মানবতা এতে বেঁচে থাকবে। পাকিস্তান কাশ্মীর চায় না। এরা তো এর চারটি প্রদেশই চালাতে পারে না। মানবতাই বড় ব্যাপার। সেখানে যারা মারা যাচ্ছে, খুবই বেদনাদায়ক। যে কোনো মৃত্যু, যে কোনো সম্প্রদায়ের হোক না কেন, এটি বেদনাদায়ক।’ হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনের এভাবেই লেখা হয়েছে আফ্রিদির উদ্ধৃতিটি। কাশ্মীর বিষয়ে বরাবরই উচ্চকণ্ঠ আফ্রিদি। এর আগে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর প্রসঙ্গে জাতিসংঘের উদ্দেশ্যেও টুইট করেছিলেন আফ্রিদি। তাই পাকিস্তান ও ভারতের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত কাশ্মীরের দাবি তাঁর কাছে শোনার কথায় ঝড় উঠেছিল।

আফ্রিদি অবশ্য নিজে বলছেন, এমন কোনো দাবি তাঁর পক্ষ থেকে করা হয়নি। বরং টুইটারে জানিয়েছেন, তাঁর কথাকে বিকৃত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। টুইটারে বলেছেন, ‘আমার বক্তব্য ভারতীয় গণমাধ্যমে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমি আমার দেশের ব্যাপারে খুবই আবেগী এবং কাশ্মীরের এ সংগ্রামকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে দেখি। মানবতা অবশ্যই জয়ী হবে এবং তাদের ন্যায্য অধিকার প্রাপ্য। আমার ভিডিওটি অসম্পূর্ণ এবং আগে যা বলেছি তার পুরো উল্টো। কাশ্মীর এখনো অমীমাংসিত বিষয় এবং নিষ্ঠুর ভারতের দখলে। জাতিসংঘের আইন অনুযায়ী অবশ্যই এর সমাধা হওয়া উচিত। আর সব পাকিস্তানির মতো আমিও কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রাম সমর্থন করি। কাশ্মীর পাকিস্তানের!’