ব্রেক্সিট খসড়া নিয়ে টালমাটাল যুক্তরাজ্যের মুদ্রা ও পুঁজিবাজার

ব্রেক্সিট বিষয়ে চূড়ান্ত খসড়া চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মুদ্রাবাজার ও পুঁজিবাজারে। ছবি: এএফপি
ব্রেক্সিট বিষয়ে চূড়ান্ত খসড়া চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মুদ্রাবাজার ও পুঁজিবাজারে। ছবি: এএফপি

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) বিষয়ে চূড়ান্ত খসড়া চুক্তিতে সমর্থন দিচ্ছে না জানিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডমিনিক রাবসহ ছয়জন। আর এই টালমাটাল অবস্থায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পাউন্ডের দরে। ব্যাপক দরপতন হয়েছে পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও আবাসন খাতের শেয়ারের। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাংক অব স্কটল্যান্ডের দর কমে ৯ শতাংশ। ৭ শতাংশ দর কমেছে আবাসন কোম্পানি পারসিমন, টেইলর উইমপি ও বারেট ডেভেলপমেন্টেসের। অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দর কমেছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ইউরোর বিপরীতে কমেছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ।

গতকাল লেনদেন শেষে যুক্তরাজ্যের প্রধান পুঁজিবাজার লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক এফটিএসই-২৫০ কমেছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। এই সূচকে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত।

গতকাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) বিষয়ে চূড়ান্ত খসড়া চুক্তিতে তাঁর বিবেক সমর্থন দিচ্ছে না জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডমিনিক রাব। এর এক ঘণ্টা পরেই পদত্যাগ করেন পেনশনবিষয়ক মন্ত্রী এস্টার ম্যাকভি। একই পদ অনুসরণ করেন জুনিয়র নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী শাইলেশ ভারা, জুনিয়র ব্রেক্সিট মন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান এবং পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি অ্যানি ম্যারি ট্রিভেলিয়ান ও রনিল জয়াবর্দেনা।

২০১৬ সালের ২৪ জুন গণভোটের মাধ্যমে বেক্সিটের সিদ্ধান্ত আসে। ব্রেক্সিটের পক্ষে ব্রিটিশদের গণরায়ের পর বিশ্ব শেয়ার ও মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। ওই বছরের অক্টোবরে বিশ্ববাজারে পাউন্ডের দর ৩১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। এবার খসড়া চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পর আবার টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মুদ্রাবাজার ও শেয়ারবাজারে।