নাগরিকত্ব বিল নিয়ে পিছু হটল বিজেপি!

নাগরিকত্ব বিল চূড়ান্ত করতে ভারতের সংসদীয় যুগ্ম কমিটি এবারও ব্যর্থ হলো। আজ মঙ্গলবার দীর্ঘ তিন ঘণ্টার বৈঠক সত্ত্বেও যুগ্ম সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারল না। জেপিসির পরবর্তী বৈঠকের দিনও স্থির করা যায়নি। ফলে বিরোধী সদস্যরা মনে করছেন, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে ভারতের শাসক দল বিজেপি আপাতত পিছু হটল।

এই বিলের বিষয়বস্তু হলো, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যেসব সংখ্যালঘু অত্যাচারিত হয়ে ভারতে আসবেন, ভারত তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে। কিন্তু এই দেশগুলোর সংখ্যাগুরুর মানুষ, অর্থাৎ মুসলমানেরা ভারতে চলে এলে তাঁদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এই বিলটি নিয়ে আরও চিন্তাভাবনা ও আলোচনার জন্য যুগ্ম সংসদীয় কমিটি গঠিত হয়। বারবার বৈঠক সত্ত্বেও বিল নিয়ে সদস্যরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি।

মঙ্গলবারের বৈঠকে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম, এসপি, বিএসপি, ডিএমকে সদস্যরা বিলটির বিরোধিতা করেন। ফলে বিলটির প্রতিটি ধারা নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব হযনি। বিস্ময়ের বিষয়, আসামের দুই বিজেপি সদস্য বিল নিয়ে নিজেদের মতামত জানাননি। বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য বিনয় সহস্রবুদ্ধে বৈঠকে বলেন, বিলটি নিয়ে তাড়াহুড়ো না করাই ভালো। যদিও দিল্লির বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষি লেখি অবিলম্বে বিলটি পাস করা উচিত বলে মন্তব্য করেন।

মঙ্গলবারের বৈঠকে বিরোধীদের দেওয়া সংশোধনী নিয়েও আলোচনা করা সম্ভব হয়নি। বিরোধীদের একটি প্রস্তাব হলো, প্রতিবেশী কোনো দেশের নাম না করে ধর্মীয় পরিচয়ের উল্লেখ না রেখে বলা হোক, প্রতিবেশী দেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে যাঁরাই ভারতে আসবেন, তাঁদের সবাইকেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

আসামে বিজেপির সঙ্গী অসম গণপরিষদ এই বিলের বিরোধী। দলটি জানিয়েছে, বিলটি পাস হলে তারা বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করতে বাধ্য হবে।