পশ্চিমবঙ্গে বিষাক্ত মদ পানে ১২ জনের মৃত্যু

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুরের চৌধুরীপাড়া গ্রামে বিষাক্ত চোলাই মদ পান করে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও ২৫ জন। প্রতীকী ছবিটি রয়টার্সের
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুরের চৌধুরীপাড়া গ্রামে বিষাক্ত চোলাই মদ পান করে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও ২৫ জন। প্রতীকী ছবিটি রয়টার্সের

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুরের চৌধুরীপাড়া গ্রামে বিষাক্ত চোলাই মদ পান করে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও ২৫ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার বিকেলে এলাকার স্থানীয় চোলাই মদ বিক্রেতা চন্দন মাহাতোর কাছ থেকে মদ কিনে পান করে বেশ কয়েকজন। জানা গেছে, চন্দন মাহাতো এলাকায় গোপনে চোলাই মদ বিক্রি করতেন। পূর্ব বর্ধমানের কালনা থেকে নদীপথে এই মদ চোরাইপথে আনা হতো।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় মৃত্যুর ঘটনা। শুরু হয় পেটে যন্ত্রণা এবং বমি। সঙ্গে সঙ্গে বিষাক্ত মদে আক্রান্ত নারী-পুরুষকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমানের কালনা হাসপাতাল, হুগলির উত্তরপাড়া স্টেট হাসপাতাল, কৃষ্ণনগর জেনারেল হাসপাতাল এবং কল্যাণী হাসপাতালে। মঙ্গল ও বুধবার—এই দুদিনে মারা যায় ১০ জন। আজ বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে আরও দুজনের।

নদীয়ার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেছেন, বিষাক্ত মদ খেয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। মদ বিক্রেতা চন্দন মাহাতো ও তাঁর এক আত্মীয় মারা গেছেন। এই ১২ জনের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন। মৃত ও অসুস্থ ব্যক্তিরা পেশায় দিনমজুর। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি থানার ওসি, দুই সার্কেল ইন্সপেক্টরসহ আবগারি দপ্তরের ১১ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি।

এদিকে এমন ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিহত পরিবার পিছু ২ লাখ রুপি করে আর্থিক অনুদানের কথা ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণার সমালোচনা করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি, কংগ্রেস ও বাম দলগুলো। তারা বলছে, চোলাই মদ যেখানে নিষিদ্ধ করা উচিত, সেখানে নিহতদের ২ লাখ রুপি করে অনুদান দেওয়া ঠিক নয়। এভাবে পরোক্ষভাবে চোলাই মদ পানে উৎসাহ দিচ্ছে সরকার।