আবারও পড়ছে অস্ট্রেলিয়ার বসতবাড়ির দাম

গত সেপ্টেম্বরের পর আবারও বসতবাড়ির দাম কমতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ায়। আর বাজারধসের হার দেশটির বিগত ১৯৯০ সালের ভূসম্পত্তি বাজারধসের হারকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বাজারবিশ্লেষকেরা। অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম শহর সিডনিতে গত মাসে বসতবাড়ির দাম কমার হার ১.৪ শতাংশ বেড়ে যায়, আর মেলবোর্নে ১ শতাংশ। পুরো অস্ট্রেলিয়ায় গড়ে বসতবাড়ির দাম কমেছে ৪.১ শতাংশ।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোরলজিকের এক প্রতিবেদনে আজ সোমবার এসব কথা বলা হয়েছে।

কোরলজিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী বড়দিনের আগেই এই বসতবাড়ির দামের নিম্নগতি আরও বাড়বে। গত জুলাইয়ে সিডনির বসতবাড়ির দাম গড়ে ৯.৫ ৬ শতাংশ কমে যায়, যেখানে অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহাসিক ১৯৮৯-৯১ সালের বসতবাড়ির অতিমন্দার বাজারে সর্বনিম্ন দাম পড়ে যায় ৯.৫ শতাংশ। তবে বসতবাড়ির দামের এই নিম্নগতির পেছনে মূল কারণ হিসেবে দেশটির বাড়ির ঋণে সুদের হার বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছে অস্ট্রেলিয়ার রিজার্ভ ব্যাংক।

কোরলজিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গেল নভেম্বর পর্যন্ত গোটা সিডনিতে বাড়ির দাম গড়ে কমেছে ৮.১ শতাংশ। এর মধ্যে সিডনির রাইড অঞ্চলে বাড়ির দাম অভাবনীয়ভাবে কমে গিয়েছে প্রায় ১২.১ শতাংশ, বোখাম হিল ও হাক্সবেরিতে ১১.৩ শতাংশ, সাদারল্যান্ড শায়ারে ১০.৯ শতাংশ এবং প্যারাম্যাটায় ১০.৩ শতাংশ পর্যন্ত বসতবাড়ির দাম কমে গেছে। অন্যদিকে মেলবোর্নে ৫.৮, পার্থে ৪.২ ও ডারউইনে ০.৮ শতাংশ কমে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার রিজার্ভ ব্যাংক বোর্ড বাড়ির ঋণে সুদের হার কমানোর বিষয়ে আলোচনা করছে।

অস্ট্রেলিয়ার মতো স্থিতিশীল জীবনযাপন-পদ্ধতির দেশে আয়-ব্যয়ের হিসাবের সামান্য তারতম্যও জনজীবনে বেশ বড় প্রভাব ফেলে। দ্রব্যমূল্যের স্বল্প রদবদলও দেশটির অর্থনীতি ও সাধারণ জীবনের অনেক কিছুই পরিবর্তন করে দেয়। তাই বাজারবিশ্লেষকেরা বলছেন, বাড়ির ঋণে সুদের হার বাড়লে ঘরবাড়ির দাম পড়তে শুরু করে। বাড়তি সুদের অর্থ সামাল দিতে একাধিক বাড়ির মালিকের অনেকেই বাড়ি কম দামে বাড়ি বিক্রি করতে শুরু করেন। ঋণ নিয়ে কেনা একাধিক বাড়ি বাড়তি সুদের হার পরিশোধ করে রাখা সম্ভব হবে না অনেকের পক্ষেই। যদিও এটি একটা সুযোগ দেশটির স্থায়ী অভিবাসীদের নিজের বাড়ি কেনার।