কলকাতায় কংগ্রেসের বিজয় সমাবেশ

বিজয় সমাবেশে কংগ্রেসের নেতারা। রানী রাসমণি অ্যাভিনিউ, কলকাতা, ১২ ডিসেম্বর। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
বিজয় সমাবেশে কংগ্রেসের নেতারা। রানী রাসমণি অ্যাভিনিউ, কলকাতা, ১২ ডিসেম্বর। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ভারতের তিনটি রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপির পতনে বেশ পুলকিত কংগ্রেস। দলটি মনে করছে, এই পতনের চিত্র দেখা যাবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও। আর এর মধ্য দিয়ে ফের ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে রাহুলের দল।

এই উপলক্ষে বুধবার বিকেলে কলকাতার রানী রাসমণি অ্যাভিনিউতে কংগ্রেস বিজয় সমাবেশের আয়োজন করে। সেখানে দলটির নেতারা বলেন, ২০১৯-এ ভারতবর্ষ থেকে বিজেপিকে হটিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গড়া হবে। আর সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন রাহুল গান্ধী।

এই সমাবেশে তৃণমূল কংগ্রেসেরও সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুশি হননি। মমতার দল দিল্লিতে মিষ্টি খাওয়ান আর বাংলায় কংগ্রেস নেতা–কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালান। এটা হতে পারে না। কারণ কংগ্রেস দুর্বল দল নয়।’ তিনি বলেন, এই কংগ্রেসই আগামীতে এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে।

বিজয় সমাবেশের অংশ নেওয়া কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। রানী রাসমণি অ্যাভিনিউ, কলকাতা, ১২ ডিসেম্বর। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
বিজয় সমাবেশের অংশ নেওয়া কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। রানী রাসমণি অ্যাভিনিউ, কলকাতা, ১২ ডিসেম্বর। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

সমাবেশে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিরোধীদলীয় নেতা ও কংগ্রেস বিধায়ক আবদুল মান্নান বলেন, কংগ্রেস দ্বিমুখী নীতি নিয়ে চলে না। কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শে লালিত। বিজেপির মতো বলে না, তারা হিন্দুত্বে বিশ্বাসী। আবার মমতার মতো কখনো হিন্দুত্বে ডুবে থাকার কথা বলে না।

রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, নদীতে ভাটা দেখে ভাববেন না, নদী শুকিয়ে গেছে। তাহলে ভুল করবেন। কংগ্রেস শেষ হয়নি। রাজনীতিতে জোয়ার–ভাটা আছে। গণতন্ত্রেও জোয়ার–ভাটা আছে।

বুধবারের সমাবেশে এক মঞ্চে দেখা গেছে কংগ্রেসের বিবদমান নেতা সোমেন মিত্র, আবদুল মান্নান, অধীর চৌধুরী ও প্রদীপ ঘোষকে। তাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে চলে যাওয়া নেতা-কর্মীদের ফিরে আসার আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনে কংগ্রেসের কাছে হেরে যায় ক্ষমতাসীন বিজেপি। এর মধ্যে গত ১২ ও ২০ নভেম্বর ছত্তিশগড়ে এবং ৭ ডিসেম্বর রাজস্থান ও তেলেঙ্গানায় ভোট হয়।